উপ-নির্বাচনের ভোট বৃহস্পতিবার গোসাইলডাঙ্গা কাউন্সিলর। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডটিতে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে।
সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট উৎসবের জন্য প্রস্তুত ভোটাররাও। সবখানেই চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। সবার মুখে একটাই কথা, কে জিতবেন কাউন্সিলর নির্বাচনে?
কে হবেন প্রয়াত কাউন্সিলর হাবিবুল হকের উত্তরসুরী। সেটি জানা যাবে ২৯ মার্চ। তবে তাঁর উত্তরসুরী হতে নির্বাচনে লড়ছেন ছয় প্রার্থী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের চারজন, বিএনপি-জামাত ও জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী রয়েছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী আওয়ামী লীগে রাজনীতি সঙ্গে জড়িত চার প্রার্থী হলেন- ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোর্শেদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নুর নবী, মহিলা সম্পাদিকা বিবি মরিয়ম ও সাবেক কাউন্সিলর জাতীয় শ্রমিক লীগ মহানগরের সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
অন্যদিকে বিএনপি-জামাত থেকে ইকবাল শরীফ, মো. শাকের জাতীয় পার্টি থেকে লড়ছেন নির্বাচনে।
একক প্রার্থীতা নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি-জামাত। বিএনপি সমর্থক ভোটাররা বলছে, সুষ্ট নির্বাচন হলে তাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। কারণ সরকারের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, যে যোগ্য, যার ইমেজ ভালো। তাকেই ভোট দেয়া হবে।
জানা যায়, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন দেয়ার নিয়ম নেই। তবে দলগুলোর পক্ষ থেকে সমর্থন দেয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় কেউ পাননি সমর্থন।
গত ৫ মার্চ ওয়ার্ড কাউন্সিলর উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়। ওইদিন সাত জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। ১২ মার্চ এক প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয় ১৩ মার্চ। ২৯ মার্চ ওয়ার্ডের ১৪ ভোটকেন্দ্রের ৭৩টি বুথে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, গোসাইলডাঙ্গা-নিমতলা ওয়ার্ডের লোকসংখ্যা দেড় লাখ। ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৫৩৯ জন ও মহিলা ১৫ হাজার ৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুল হক মৃত্যুবরণ করেন। ৩১ ডিসেম্বর কাউন্সিলর পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। কমিশন উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ১৮ ফেব্রুয়ারি।