সোমবার রাতে ঝিনাইদহে অবস্থিত ইবি শিক্ষক ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ তাদের আটক করলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার তদবিরে মুক্তি পেয়েছে বলে স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, ইবি শিক্ষক কর্মকর্তাদের জন্য ঝিনাইদহ শহরে অবস্থিত ক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী পন্থী শিক্ষক প্রফেসর ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু, মিজানুর রহমান (বায়োটেক), পরিসংখ্যান বিভাগের ড.সাজ্জাদ হোসেন, প্রো-ভিসির পিএস আব্দুল হান্নান, মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের কর্মকর্তা গিয়াস মন্ডল ওরফে (গ্রেনেড) ও ইবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা কেরামত আলীসহ আরো কয়েকজন রাত সাড়ে ৮টার দিকে জুয়া খেলা শুরু করে।
ক্লাবের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানায়, স্যাররা নিয়মিত এখানে কার্ড, জুয়াসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক খেলা ও আড্ডা দেয়। কিন্তু গতকাল জুয়া (ফ্লাশ) খেলতে থাকলে হঠাৎ ঝিনাইদহের কয়েকজন ডিবি পুলিশ এসে স্যারদের ওই ক্লাবের মধ্যে রেখে দরজা আটকে দেয়। প্রায় ঘণ্টা খানেক আটক করে রাখে।
এ সময় পুলিশ স্যারদের মোবাইল ও টাকা পয়সা জব্দ করে। পুলিশ আটকদের থানায় নিয়ে যেতে চাইলে ঝিনাইদহ শৈলকুপা আসনের আওয়ামী সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুল হাই থানায় যোগাযোগ করে তাদের ছাড়িয়ে নেয়।
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু জানান, “আমরা আমাদের ক্লাবে এসব ছোট খাটো বিনোদনের জন্য আড্ডা দিতেই পারি। কিন্তু কিভাবে কেন পুলিশ হঠাৎ আমাদের সঙ্গে এই আচরণ করলো আমরা বুঝতে পারছি না। আসলে আমরা হয়তো চক্রান্তের শিকার। পরে পুলিশ আমাদের কাছে সরি বলে চলে গেছে।
আর মোবাইল টাকা জব্দের ব্যাপারে তিনি বলেন, ঘটছে একটা আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অন্যরা বিভিন্নভাবে বিষয়টি প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।”
অভিযুক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা পুলিশের হেনস্থার বিষয়টি বললেও এব্যাপারে ঝিনাইদহ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজ বলছেন অন্য কথা, তিনি বলছেন “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এ রকম কোনো ঘটনা আমার নলেজে নেই।” – See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2016/04/19/124470#sthash.dbvOMUef.dpuf