শ্রমিকরা সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সোহেল রানাসহ দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন করেছে।
শুক্রবার সকালে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির ব্যানারে এই মানববন্ধনে অংশ নেয় শ্রমিকরা।
এসময় শ্রমিক নেতারা বলেন, আগামী ২৪ এপ্রিল ২০১৮ হবে রানা প্লাজা ধসের পাঁচ বছর। সারা দুনিয়ার কারখানার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শ্রমিক হত্যার ঘটনা ঘটলেও পাঁচ বছরে এই ঘটনার বিচার প্রক্রিয়াই শুরু হলো না। ভবন নির্মাণ আইনে মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হলেও হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ রানা প্লাজায় ১১৭৫ এর অধিক শ্রমিকের জীবন হারানো কোনো দুর্ঘটনা নয়, রীতিমতো পরিকল্পিত হত্যা। ফাটল দেখা যাওয়ায় সবাই ভবন পরিত্যাগ করলেও শ্রমিকদেরকে জোর করে ঢোকানো হয়েছিল মৃত্যুকূপে। ফলে এই হত্যার দায় নিতে হবে ভবনমালিক সোহেল রানাসহ, সরকারি কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী যারা মৃত্যুকূপের পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন, কারখানার মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
বিচার প্রক্রিয়া প্রলম্বিত করার ভেতর দিয়ে প্রকারান্তে রানা প্লাজার ইতিহাসকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এসময় গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বেসিক ১০ হাজার এবং মোট ১৬ হাজার টাকা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান নেতারা। অন্যথায় দেশের ৪৪ লাখ শ্রমিক নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এসময় মানববন্ধনে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সঙ্গে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য এফ এম নূরুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা শাখার সভাপ্রধান বাবুল হোসেন, সাভার শাখার সম্পাদক আলম মাতব্বর, রূপালী আক্তার, নিহত শ্রমিক ফজলে রাব্বির মা রাহেলা বেগম, সত্যজিৎ দাসসহ অন্যান্য নেতারা।