বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে আমদানিকৃত প্রায় ১০০টি পণ্যের ওপর ৬০ বিলিয়ন (৬,০০০ কোটি) ডলার শুল্ক আদায়ের পরিকল্পনায় সই করে । খবর বিবিসির।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের কারণে বিশ্ব শেয়ার মার্কেটে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। জাপানের নিক্কেই শেয়ার মার্কেটে ৪.৯ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডো জোন্সে ২.৯ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতিকে এই পদক্ষেপের কারণ বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে ৩৭৫ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।
বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলোতে। সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্স ৩.৪ শতাংশ কমে সমাপ্ত হয়েছে। হংকং-এর হাং সেং ইনডেক্সে কমেছে ২.৫ শতাংশ।
ইউরোপের শেয়ার বাজারের এর প্রভাব পড়েছে। জার্মানির ডাক্স ইনডেক্সে পতন হয়েছে ২ শতাংশ। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগন এবং ইস্পাত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান থিসেনক্রুপের শেয়ারের পতন হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, চীনে আমদানি করা মার্কিন পণ্যের ওপর বেইজিং যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তার পাল্টা জবাব হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হলো। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মেধাস্বত্ব চুরির জন্যও চীনকে অভিযুক্ত করেছেন ট্রাম্প।
এদিকে চীন গতকাল বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, মার্কিন সরকার বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে নিঃসন্দেহে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বেইজিং।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার রাতে এক নির্দেশে বলেছেন, যেসব চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা সম্ভব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তার তালিকা তৈরি করতে হবে। হোয়াইট হাউজ দাবি করছে, আমেরিকার কাছ থেকে মেধাস্বত্ব ও প্রযুক্তি চুরি করে এসব পণ্য উৎপাদন করছে চীন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন, চীনা পণ্য আমদানি করার ফলে আমেরিকার ৬০ হাজার কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং ৬০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে গেছেন।