ছাদের পলেস্তরা খসে পড়েছে। মূল ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ায় এর নিচে থাকা ফলস ছাদের টাইলসও খসে পড়েছে রাজশাহী জেলা পরিষদের । মঙ্গলবার ভোরে চেয়ারম্যানের দপ্তরের সামনের অভ্যর্থনা জোনে এ ঘটনা ঘটে। তবে অফিস বন্ধ থাকায় এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, মূল ছাদ থেকে প্রায় চার ফুট মতো জায়গা থেকে পলেস্তরা খসে পড়েছে। এই পলেস্তরার চাপে মূল ছাদের নিচে থাকা টাইলসের ছাদেরও প্রায় ১০ ফুট অংশ খুলে পড়েছে। চেয়ারম্যানের দপ্তরের সামনের এই ছাদের নিচে অফিস চলাকালীন সময় অনেকেই অবস্থান করেন।
পরিষদের নৈশ্যপ্রহরী মো. জিয়া জানান, ভোর ৬টার দিকে তিনি একটা বিকট শব্দ শুনতে পান। পরে অফিস খুলে দেখা যায়, মেঝেতে ছাদের পলেস্তরা ও টাইলস খসে পড়ে আছে। অফিস সময়ে এ ঘটনা ঘটলে হতাহতের আশঙ্কা ছিল বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক পুরনো একতলা একটি ভবনে জেলা পরিষদের কার্যক্রম চলছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় অবস্থিত এই ভবনটি আগে জেলা পরিষদের একজন সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় ছিল। তখন জেলা পরিষদের কার্যালয় ছিল নগরীর কোর্ট এলাকায়। ২০১০ সালে এই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভেঙে ফেলা হয়।
এরপর শ্রীরামপুরে এই ভবনটিতে শুরু হয় জেলা পরিষদের কার্যক্রম। কিন্তু এর পরিবেশ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। আবার একটু বেশি বৃষ্টি হলে পানি ঢোকে কার্যালয়ের ভেতরে। এ অবস্থায় নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। তবে এখনও পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ। তাই তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমতিও পাওয়া গেছে। কিন্তু পুরোপুরি অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে খুব শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি।