‘ফ্লেক্সওয়াশ’ স্যামসাং বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এলো তাদের ফ্ল্যাগশিপ ওয়াশিং মেশিন । এই নতুন ওয়াশিং মেশিনে রয়েছে ওয়াশার ড্রায়ার কম্বিনেশন এবং রয়েছে দুইটি ওয়াশার এবং তিনটি দরজা। যা ফ্লেক্সওয়াশ ওয়াশিং মেশিনের কার্যক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ফ্লেক্সওয়াশ ওয়াশিং মেশিনের সাহায্যে একজন ব্যবহারকারী একসাথে অনেক কাপড় পরিষ্কার করতে পারবেন।
ফ্লেক্সওয়াশ ওয়াশিং মেশিনটি ২১ কেজি ধারণক্ষমতায় পাওয়া যাবে। এতে রয়েছে স্যামসাংয়ের চারটি মূল লন্ড্রি টেকনোলজি। এগুলো হলো- ইকো-বাবল, বাবল সোক, অ্যাডওয়াশ এবং ভাইব্রেশন রিডাকশন টেকনোলজি (ভিআরটি প্লাস)।
এই ফ্লেক্সওয়াশ ওয়াশিং মেশিনের সাহায্যে একজন ব্যবহারকারী খুব দ্রুত এবং কার্যকরী উপায়ে কাপড় পরিষ্কার করতে পারবেন। এছাড়াও এ ওয়াশিং মেশিনের সাহায্যে ব্যবহারকারী যে কোন কঠিন দাগ এবং ময়লা খুব সহজেই উঠিয়ে ফেলতে পারবেন। ভিআরটি প্লাস টেকনোলোজি ওয়াশিং মেশিনের কার্যক্ষমতাকে করবে দ্রুততর এবং শব্দহীন। এছাড়াও মেশিন চলাকালীন একজন ব্যবহারকারী অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট এবং সফটেনার যোগ করতে পারবেন।
স্মার্ট কন্ট্রোল টেকনোলোজির মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে যেকোন জায়গা থেকে ওয়াশিং পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এছাড়াও এই অ্যাপের মাধ্যমে ওয়াশিং শুরু বা বিরতি, অ্যালার্ম সেট এবং প্রোগ্রাম নির্বাচন করতে পারবেন।
ফ্লেক্সওয়াশ-এর ডিজিটাল ইনভার্টার মোটর শক্তি সঞ্চয় নিশ্চিত করে এবং মেশিন চলাকালীন কম কম্পন এবং শব্দ তৈরি করে। এই ওয়াশিং মেশিনে ১০ বছরের ডিজিটাল ইনভার্টার মোটরের ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে ফ্লেক্সওয়াশ ওয়াশিং মেশিনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা। প্রি-বুক করার জন্য গ্রাহকদের ১০% অগ্রীম জমা দিতে হবে (০% রেটে, ১৮ মাসের কিস্তিতে)। গ্রাহকরা এই প্রি-বুকিং স্যামসাং বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ অথবা ট্রান্সকম ডিজিটালের অনুমোদিত আউটলেট থেকে করতে পারবেন।
স্যামসাং বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্যাংওয়ান ইউন বলেন, ‘স্যামসাং চায় গ্রাহকদের জীবনকে সহজ করে তুলতে। সেই লক্ষ্যে আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের গ্রাহকদের জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তি নিয়ে আসতে। স্যামসাং ফ্লেক্সওয়াশ একটি স্মার্ট ওয়াশিং মেশিন যা গ্রাহকদের ঝামেলাবিহীন জীবনযাপন নিশ্চিত করবে।’