সবচেয়ে খারাপ দেশ হলো মিয়ানমার ত্রাণ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে । গত ছয় মাসে যেসব মানুষ খারাপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন এবং তাদের ত্রাণ পাওয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার অক্ষমতার শীর্ষে রয়েছে এই দেশটি। জেনেভাভিত্তিক এসিএপিএস তাদের এক গবেষণায় এ কথা বলেছে। সংস্থাটি ৩৭টি দেশের ওপর ৯টি সূচকের ভিত্তেতে গবেষণা চালায়। এর মধ্যে রয়েছে মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, মানুষকে ত্রাণ পাওয়ার সুবিধার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা। গবেষণা শেষে তারা একটি বিবৃতি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার হলো সেই দেশ, যেখানে মানবিক ত্রাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকার সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় গেছে। সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ধারেকাছে ঘেঁষাও ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। ওদিকে বৃটিশ পার্লামেন্টারি কমিটি আরো একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মঙ্গলবার। তাতে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে বন্যা ও বিভিন্ন রোগে আরো কয়েক হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ার স্টিফেন টুইগ এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সময় দ্রুত পেরিয়ে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন দাতাদের। তিনি বলেছেন, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উদ্বাস্তৃ আরেকটি সঙ্কটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। আবহাওয়া পাল্টে যাচ্ছে। নিরাপত্তায় রয়েছে নাজুক অবস্থা। তাছাড়া বাংলাদেশে যেসব অস্থায়ী ক্যাম্পে তারা আশ্রয় পেয়েছেন তা রয়েছে ঝুঁকিতে। উল্লেখ্য, ২৫ শে আগস্ট রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু পর জাতিসংঘের হিসাবে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছাড়তে বাধ্য হন। জাতি নিধনের শিকার হয়ে তারা আশ্রয় নেন বাঙলাদেশে। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এক্ষেত্রে যে অভিযোগ তা বরাবরই অস্বীকার করছে মিয়ানমার।