নিহত ২৩ বাংলাদেশীর জানাজা সম্পন্ন হয়েছেনেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্তে। আজ সোমবার বিকেল ৫টার পর আর্মি স্টেডিয়ামে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর নিহতদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী নিহতদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, তিন বাহিনীর প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ জানাজায় অংশ নেন। এসময় নিহতের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে ২৩ জনের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসে নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নেপাল সরকারের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিগণ। পরে ত্রিভ্বুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে মরদেহগুলো নিয়ে আসা হয়। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশির মধ্যে রয়েছেন উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন ও এফ এইচ প্রিয়ক, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।