প্রধানন মন্ত্রী শেখ হাসিনা ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এদিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ অনুমোদন করা হয়। সেদিন থেকে এ স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে।
তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে সকল ক্ষেত্রে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। গত সাত বছরে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বৈদেশিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ১৪৬৬ ডলারে উন্নীত হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ০৫। আমরা সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছি। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ চার জাতীয় নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিত মা-বোনদের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।