আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকদের উচ্চ বেতনে নাখোশ । তিনি মনে করেন, এই বেতন লাগাম ছাড়িয়ে গেছে। এটা কমানো দরকার।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটর সভাপতি বলেন, ‘তারা প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা বেতন পায়। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বেতন দুই লক্ষ টাকা। এটা হতে পারে না।’
রবিবার শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি তাদের কথা বক্তব্য তুলে ধরেন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে আগামী ১ জুন। আর এই বাজেট পেশের জন্য পরামর্শ দিতে এরই মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবেই এই আলোচনা হয়।
আগামী বাজেটের আকার এখনো ঠিক হয়নি। তবে অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি প্রাক-বাজেট আলোচনায় জানিয়েছেন বাজেটের আকার চার লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার মতো হবে।
ক্ষমতাসীন দলের প্রচার ও প্রকাশনা হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ব্যাংকের একজন এক্সকিউটিভ, এমডি, সিইও এর বেতন ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা।…এটা হতে পারে না। কারণ ব্যাংকের টাকা জনগণের টাকা।’
উপজেলা পর্যায়ে সেরা করদাতাদের পুরস্কার দেয়ারও আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ। এতে উপজেলা পর্যায়ে কর দেয়ার প্রবণতা বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
দেশে গাড়ি নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করতে বিনিয়োগকারীদেরও বিশেষ সুবিধা দেয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। বলেন, ‘আমরা এখনও গাড়ি আমদানি করি। কিন্তু আমাদের অনেক প্রতিষ্ঠান গাড়ি বানাতে আগ্রহী। তাদের ট্যাক্স সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন। এতে করে আমাদের অনেক টাকা সাশ্রয় হবে।
বিদেশি মোবাইল কোম্পানিগুলোকেও কিছুটা চাপ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হাছান। বলেন, ‘তারা বিদেশে সব লাভের টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এটা যেন সব নিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি করা উচিত।’
‘তাদের এখন ব্যয় উঠে গেছে। এখন তারা লাভ করছে। মোবাইল কোম্পানির শেয়ারের কিছু অংশ যেন দেশি বেসরকারি কোম্পানি কিনতে পারে সে ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।’