মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের থেকে আমাদের দেশের পুলিশ অনেক কম মানুষকে হত্যা করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
গতকাল শুক্রবার তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন। যেখানে তিনি তুলে ধরেছেন মার্কিন পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন নেতিবাচক দিকগুলো।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সময়মতো নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার পরিস্থিতি-২০১৫’র বাংলাদেশ অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আর সে প্রেক্ষিতেই জয় যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ নিয়ে মন্তব্য করেন।
নিচে জয়ের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
এটা তাদের জন্য যারা মার্কিন মানবাধিকার সংস্থাকর্তৃক আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনাকে অনেক বড় কিছু মনে করছেন। এই হলো বাস্তবতা যে, ২০১৫ সালে মার্কিন পুলিশ তাদের দেশে ৯৮৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায়।
যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে নারী ও শিশুসহ অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার ও অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখাও সমর্থন করে। অবৈধ অভিবাসন হচ্ছে একটি দেওয়ানি লঙ্ঘন, এটি কোন অপরাধমূলক কাজ নয়।
পরিশেষে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র দেশ যারা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্যাতন অনুমোদন করেছে এবং অপহরণ ও নিপীড়নের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন গোপন কারাগারগুলোতে মানুষদের আটক রেখেছে যাকে তারা বলে, ‘অসাধারণ পথদর্শন’। এদের অধিকাংশ হলো সন্দেহভাজন জঙ্গি, কিন্তু এদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরপরাধ নাগরিক, যাদের বছর খানেকের মাঝে বা তারও বেশি সময় পর ছাড়া হয়। এই সময়ের মাঝে তাদের পরিবার জানতে পারেন না যে তাদের অপহরণ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যসহ বেশিরভাগ ইউরোপিয়ান দেশগুলো এই ‘অসাধারণ পথদর্শন’ কার্যক্রমের সাহায্যকারী।
এসব ঘটেছে পূর্ববর্তী প্রশাসনের অধীনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সম্প্রতি তদন্ত শেষে ঘোষণা করেছে যে এই কাজগুলো ছিল অবৈধ। তথাপিও, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের লোকদের অপরাধমূলক কাজের তদন্তের বিষয়টি নাকচ করে এসেছে। কেউই কখনও এই বিষয়ে অভিযুক্ত হবেন না।
তাই, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তুলনা করলে, আমাদের পুলিশ কম হত্যা করেছে এবং আমরা অপহরণ বা নির্যাতনকে কোনভাবেই অনুমোদন করি না।