১৪ বাংলাদেশিসহ ২৫ জনের মরদেহ শনাক্তের কথা জানিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে মরদেহগুলো তাদের উপস্থিত স্বজনদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয় নেপালের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালে । আজ শনিবার হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের পক্ষ থেকে মরদেহগুলোর নাম প্রকাশ করেন হাসপাতালটির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান প্রমোদ শ্রেষ্ঠা। এসময় বাংলাদেশি মেডিকেল টিমের সদস্য ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সাহেল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে বলা হয় মোট ২৫টি মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি ও একজন চীনা নাগরিক।
লাশ শনাক্ত হওয়া ১৪ বাংলাদেশিরা হলেন- অনিরুদ্ধ জামান, তাহিরা তানভীন শশী, মিনহাজ বিন নাসির, রাকিবুল হাসান, মতিউর রহমান, রফিক উজ জামান, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, আকতার বেগম, হাসান ইমাম, এসএম মাহমুদুর রহমান, বিলকিস আরা, বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ ও কেবিন ক্রু খাজা হুসেইন মোহাম্মদ শাফী।
ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, নেপালি ও চীনা নাগরিকের মরদেহ স্বজনরা গ্রহণ করার পর বাংলাদেশিরা মরদেহ দেখার সুযোগ পাবেন।
শনাক্ত হওয়া তালিকায় রফিকুজ্জামান ও তার ছেলে অনিরুদ্ধের নাম থাকলেও তার স্ত্রী সানজিদা হকের নাম নেই। একইভাবে বৈশাখী টেলিভিশনের রিপোর্টার আহমেদ ফয়সালের নামও পাওয়া যায়নি এই তালিকায়।