এক ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জামালপুর পৌরসভার রশিদপুর গ্রামে মাহমুদুল হাসান মারুফ নামে এক কলেজছাত্রকে এসিড মেরেছে । এসিডে মারুফের মুখমণ্ডল ও কাঁধ ঝলসে গেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত মাহমুদুল হাসান মারুফ জামালপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইলেকট্রনিকস টেকনোলজির প্রথম বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ ও আহতের পরিবার জানায়, রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ঝাউগড়া বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ভাবনা আক্তার রিয়া মাহমুদুল হাসান মারুফকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে মারুফ তাতে সাড়া দেয়নি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারুফ তার বন্ধু সাইফুলকে নিয়ে রিয়ার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রিয়া মারুফকে বাড়ির ভেতরে বৈদ্যুতিক লাইনের ত্রুটি ঠিক করে দিতে বলেন। মারুফ দিনের বেলা এসে ঠিক করে দেবেন বলে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় আকস্মিক মারুফের মুখে এসিড ছুড়ে মারে রিয়া। এরপর মারুফ চিৎকার করে দৌড়ে রশিদপুর বাজারে গেলে স্থানীয়রা তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শুক্রবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মারুফের বাবা দুদু মিয়া মামলা করেন। পরে পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রিয়া ও তার মা হাসি বেগম সুজেদাকে রশিদপুরের বাড়ি থেকে আটক করে।
এসিডদগ্ধ মারুফ বলেন, রিয়া আমাকে ঘরে যেতে বললে আমি যাইনি। এ সময় রিয়া দরজা থেকে আমার মুখের দিকে এসিড ছুঁড়ে। আমি সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাই। রিয়ার সাথে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। রিয়াই আমাকে মাঝেমধ্যে ফোন করে প্রেমের প্রস্তাব দিত। আমি রাজি হয়নি।
তবে মারুফের ওপর এসিড নিক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করে কলেজছাত্রী রিয়া বলেন, আমি মারুফকে চিনি না। ওর সাথে আমার কোনো সম্পর্কও নেই। যে সময়ের কথা বলছে আমি আর আমার মা তখন বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। তারা মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের ফাঁসাচ্ছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিমুল ইসলাম জানান, আটক রিয়া ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।