বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি কক্সবাজারে কোরআন শরীফের ভেতরে অভিনব পন্থায় ইয়াবা পাচারের সময় তিনজনকে আটক করেছে ।
গত ১০ মার্চ কক্সবাজারে এক ব্যক্তির মাথার পাগড়ির মধ্যে ছয় হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের ঘটনার পর আবার ধর্মীয় জিনিস ব্যবহার করে ইয়াবা পাচারের ঘটনা ঘটল।
টেকনাফে বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, গত ১২ই মার্চ গভীর রাতে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা একটি নৌকা বড়ইতলী এলাকায় পৌঁছলে বিজিবির একটি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে।
এ সময় কিছু লোক পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বিজিবি সৈন্যরা তিনজনকে আটক করেন। এদের একজনের দেহ তল্লাশি করার সময় এক কপি কোরআন খুঁজে পাওয়া যায়। সেই কোরআন খুলে তার ভেতরে ১৫ হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।
আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, ‘চোরাচালানিরা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করার চেষ্টা চালায়। আমাদের সৈন্যরা কোরআনের প্রতি শ্রদ্ধাবশত: তা পরীক্ষা করবে না বলেই চোরাচালানিরা মনে করেছিল।’
তিনি বলেন, চোরাচালানের মাধ্যম হিসেবে কোরআনের মত ধর্মীয় বস্তু ব্যবহার কক্সবাজার এলাকায় নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগে গত ১০ মার্চ কক্সবাজার থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল, যার মাথার পাগড়ির মধ্যে ছয় হাজার ইয়াবা ছিল।