বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাংলা নতুন বছরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সুদিনের প্রত্যাশা করছেন।
নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আসুন, পেছনের অনেক দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা ও বেদনা ভুলে আমরা সকলে হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করি। সামনের দিকে এগিয়ে যাই। শুভদিন আমাদের সামনে আসবেই।’
পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়া আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘নতুন বছরে এ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। শান্তি ও সুদিন আসবে। জনগণের কল্যাণ হবে, খুন-গুম থেকে মানুষ মুক্তি পাবে এবং দেশে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে।’
‘তবে নতুন বছরে সব চেয়ে বড় কাজ হবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। সেজন্য বিভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে তুলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’ বলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে দেশবাসী, বিশ্ববাসী ও প্রবাসীসহ প্রত্যেক রাজনৈতিক দল এবং এসব দলের নেতারা, শিশু, মহিলা ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘আশা করি, এ নববর্ষ বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুদিন বয়ে আনবে, শুভ হবে। তাই আসুন, ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। যেমন করে শহীদদের রক্তে মাতৃভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তেমনি আমাদের দেশকে শান্তি ও উন্নয়নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলি।’
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
এর আগে, দুপুর আড়াইটায় জাসাসের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে অনুষ্ঠান স্থলে এসে উপস্থিত হন। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু করতালি ও স্লোগানে স্লোগানে তাদের প্রিয়নেত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বিএনপি নেত্রীও হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দেন।
এদিকে, বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দুপুরের আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনস্রোত।
জাসাস সভাপতি এমএ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান।