চট্টগ্রামেও রাজধানীসহ সারা দেশের মতো শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটা ৫৬ মিনিটে ভূমিকম্পে নড়ে ওঠে চট্টগ্রাম। এ সময় আতঙ্কে বহুতল ভবনের বাসিন্দারা নিচে খোলা জায়গায় নেমে আসে। এ সময় সবার চোখেমুখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছোট শিশুরা ভয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।
ঢাকা থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মায়ানমারের মাউলাইক শহরের ৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে ছিলো ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। স্থানটি বাংলাদেশ-ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত সংলগ্ন।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩৪ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। অবশ্য ভূমিকম্পের পরপরই এর মাত্রা ৭ দশমিক ২ বলে খবর পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৯ বলে নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিএস।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপক বাংলানিউজকে জানান, ভূমিকম্পে বিমানবন্দরের মূল ভবনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ভবনের সামনের অংশের ছাউনির পলেস্তারা খসে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের লিডার বিশু কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, ভূমিকম্পে চান্দগাঁও, হালিশহর, কোতোয়ালি থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন এবং বন্দর থানার বারেক মিয়া স্কুলের পাশে একটি গার্মেন্টের গুদামসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।