আমির খান নিজের নামের পাশে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ শুনলেই গর্জে ওঠেন। বরং পাপারাৎজিরা তাকে ‘মিস্টার প্যাশনেট’ বললে পবশি খুশি হন এই অভিনেতা। ৫৪ বছরে পা দিলেন তিনি গতকালই, কিন্তু এখনও যেন তিনি সুইট সিক্সটিন। অনেকেরই অজানা যে লন টেনিস খেলায় তীব্র ঝোঁক ছিল আমির খানের। খেলতেনও ভাল। রাজ্যস্তরের নানান চ্যাম্পিয়নশিপে স্কুলের হয়ে খেলে একাধিক পুরস্কারও ঘরে নিয়ে এসেছিলেন আমির।
অভিনয় শুরুর আগে বেশ স্ট্রাগল করতে হয়েছিলো তাকে। একটা সময় ‘অবান্তর’ বলে একটি নাটকের দলেও কাজ করতেন আমির। সেই দলে অভিনেতা হিসেবে নয়, ব্যাকস্টেজের সহযোগী হিসেবেই কাজ করেছিলেন। আর তারপরই ধীরে ধীরে জন্মাতে থাকে অভিনয়ের প্রতি আমিরের আগ্রহ। কিছুটা বাবার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়েই নিজের ইচ্ছের গাছটিতে আস্তে আস্তে জল দিতে শুরু করেন আমির। শুরু হয় হিন্দি ছবিতে আমির খানের অভিনয়ের সফর। শুরুটা হয় কেতন মেহতার হাত ধরে। ছবির নাম হোলি(১৯৮৪)। এই ছবিতে আমিরকে একটি চুম্বন দৃশ্যেও অভিনয় করতে হয়েছিল। আমির ছাড়াও এই ছবিতে ছিলেন তার প্রিয় দুই বন্ধু আশুতোষ গোয়ারিকর এবং রাজ যুৎশি। ওম পুরি এবং নাসিরুদ্দিন শাহও ‘হোলি’তে অভিনয় করেছিলেন। তবে ছবির এন্ড ক্রেডিটসে আমিরের পুরো নামটি অর্থাৎ আমির হুসেন খান নামটিই ছিল। যদিও প্রথমে শিশু অভিনেতা হিসেবেই বলিউডে হাতেখড়ি হয়েছিল আমিরের। ১৯৮৪ সালে ‘হোলি’র মুক্তির আগেই আমিরের সঙ্গে রীনা বক্সির দেখা হয়ে যায়। প্রেমে পড়েন দুজনে। আর সেখান থেকে ১৯৮৬ সালে বিয়ে। আর তারপরই ১৯৮৮ সালে আমিরের জীবনে আসে প্রথম সুপারহিট ছবি ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’। সেই ছবিতে রীনার এক ঝলক দেখাও মিলেছিল। ছবির বাজেট এতটাই কম ছিল যে অভিনয়ের পাশাপাশি ছবির বাণিজ্যিক দিকের খুঁটিনাটিও দেখতে হয়েছিল আমির খানকে। এমনকি রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বাস আর অটোতে এই ছবির পোস্টার লাগাতেন আমির ও রাজ যুৎশি। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট ছবি দিয়ে গেছেন আমির।