এক কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে কুড়িগ্রামে পালিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে । গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে বখাটেদের খপ্পড়ে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয় সে। এসময় তাকে ৮/৯জন যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গভীররাতে পুলিশ খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কাঁঠালবাড়ির হরিশ^র কালেয়া গ্রামের মাসুদ রানা (২৪), হৃদয় হাসান সুমন (১৮) ও তারপদ (২০) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ ও ছাত্রীর দেয়া তথ্যমতে, তার প্রেমিক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের বাঞ্ছারাম গ্রামের অটোচালক রহমান আলীর পুত্র কামরুল ইসলামের (২২) সাথে পালিয়ে বিয়ে করে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সে মোতাবেক সারাদিন কলেজ করার পর সে বিকেলে মেলায় সময় কাটিয়ে প্রেমিকের কথামতো রাত সোয়া ৮টার দিকে সদরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারের পাশে একটি পরিত্যক্ত পেট্রোল পাম্পে অবস্থান নেয়। প্রেমিক কামরুলের কুড়িগ্রাম শহর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামি বাসে চড়ে তার কাছে আসার কথা ছিল। মেয়েটিকে সেখানে ব্যাগসহ একাই অবস্থান করতে দেখে পূর্ব থেকে অনুসরণ করা তিনটি মোটর সাইকেলে ৬জন যুবক মেয়েটিকে জোড় করে তুলে নেয়। পরে তাকে পাশর্^বর্তী ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর ধর্ষকরা মোবাইলে তাদের বন্ধু স্বপন, পলাশ, মুকুল, লাইজুসহ আরো ৮/৯জনকে ডেকে আনে। ঘটনার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মেয়েটি। রাত ২টার দিকে জ্ঞান ফিরে পেয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় মেয়েটি কোনক্রমে রাস্তার পাশে আসলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়েটি শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসি মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী এবং তার বাড়ি একই ইউনিয়নের নিধিরাম গ্রামে।
মেয়েটির চিকিৎসার ব্যাপারে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটিকে নিবিঢ়ভাবে চিকিৎসাধীনে রাখা হয়েছে। মানসিকভাবে যাতে ভেঙে না পড়ে সে বিষয়টি মাথায় রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রওশন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে ৩জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। রাতেই অভিযুক্ত মাসুদ রানা, হৃদয় হাসান সুমন ও তারপদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মেয়েটির চিকিৎসার ব্যাপারে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটিকে নিবিঢ়ভাবে চিকিৎসাধীনে রাখা হয়েছে। মানসিকভাবে যাতে ভেঙে না পড়ে সে বিষয়টি মাথায় রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রওশন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে ৩জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। রাতেই অভিযুক্ত মাসুদ রানা, হৃদয় হাসান সুমন ও তারপদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।