সিএনজি টেক্সি চলাচলে জারি থাকা বিধিনিষেধ অবশেষে তুলে নেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের শাহ আমানত সেতুর উত্তর পাড় থেকে শিকলবাহা ওয়াই জংশন (ক্রসিং) পর্যন্ত । এ সংক্রান্ত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিআরটিএ চেয়ারম্যান, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, সওজ, চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব ও কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রেরণ করা হয়েছে। ফলে মহাসড়কের এই দুই কিলোমিটার অংশে এখন থেকে সরাসরি সিএনজি টেক্সি চলাচল করতে পারবে। দীর্ঘদিনের এই ‘হাইওয়ে বিড়ম্বনার’ অবসান হওয়ায় যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি চালকরাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনা রোধে সারাদেশে মহাসড়কে থ্রি–হুইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে নগরীর শাহ আমানত সেতু থেকে শিকলবাহা ওয়াই জংশন পর্যন্ত সিএনজি টেক্সি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে শহরে/মইজ্জারটেকে আসা সিএনজি টেক্সিগুলোকে কর্ণফুলীর উপজেলার ফকিরনিরহাট দিয়ে ঢুকে কলেজবাজারের উত্তরে শিকলবাহা চৌমুহনী দিয়ে বের হয়ে মইজ্জারটেকে আসতে হতো। এতে শিকলবাহা ক্রসিং থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত দুই কিলোমিটার মহাসড়কের বদলে তাদের ৪/৫ কিলোমিটারের অধিক অভ্যন্তরীণ পথ পাড়ি দিতে হতো। ওই সরু ও খানাকন্দে ভরা রাস্তাটি পেরিয়ে আসতে যাত্রী সাধারণ ও চালকদের পড়তে হতো চরম ভোগান্তিতে। বর্ষা মৌসুম হলে তো কথাই নেই! তবে কেউ যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরাসরি মহাসড়ক দিয়ে আসার চেষ্টা করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরতে পারে তাহলে মোটা অংকের জরিমানার পাশাপাশি মামলাতেও জড়াতে হতো। এছাড়া অনেক সময় মামলা থেকে বাঁচতে মোটা অংকের চাঁদাও দিতে হতো বলে অভিযোগ করেন চালকরা।
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চালকরা বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণাও দিয়েছেন। এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী জানান, আমার নির্বাচনী ইশতিহারের অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি ছিল শাহ আমানত সেতু থেকে শিকলবাহা ওয়াই ক্রসিং পর্যন্ত মহাসড়কে সিএনজি টেক্সি চলাচলা উন্মুক্ত করা। অবশেষে মাননীয় ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির সার্বিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। এজন্য তিনি কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদের, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নানকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম জানান, এ দু’কিলোমিটারের মধ্যে সিএনজি চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় সব চাইতে বেশি দুর্ভোগের শিকার হতো মহিলারা। কর্ণফুলীবাসীর দীর্ঘদিনের এ দাবি মন্ত্রী মহোদয়ের প্রচেষ্টায় পূরণ হওয়া কর্ণফুলীবাসী আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।