প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংক ঋণের সুদের হার আবার দুই অংকে চলে যাওয়ায় অসন্তোষ জানিয়েছেন। সুদ হার গত বছরের মতোই এক অংকে নামিয়ে আনা না হলে সরকার কঠোর হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় শেখ হাসিনা তার এই অবস্থানের কথা জানান।

গত দুই থেকে তিন বছর বছর ধরে বাংলাদেশে ব্যাংক ঋণের আমানত এবং সুদের হার, ‍দুটোই ছিল পড়তির দিকে। ২০১৭ সালেও আমানদের গড় সুদ হার পাঁচ শতাংশ এবং ঋণের সুদ হার ১০ শতাংশের নিচে নামার পর ব্যবসায়ীরা বেশ সন্তুষ্ট ছিলেন। এমনকি আবাসনের জন্য আট থেকে সাড়ে আট শতাংশে ঋণের ব্যবস্থা হওয়ায় মধ্যবিত্তের জন্য বাড়ি কেনাও অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ব্যাংকে তারল্য সংকটের কারণে আমানতের সুদের হার আবার ঊর্ধ্বমুখী। পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে কোনো কোনো ব্যাংক সাড়ে নয় থেকে ১০ শতাংশ সুদেও আমানত সংগ্রহ করছে। আর আমানতের সুদ হার বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে ঋণের সুদহারে। এটি দুই অংকে চলে যাওয়ায় শিল্প মালিক এবং ব্যবসায়ীরা আবারও বেকায়দায় পড়েছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক এ বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যাংকের চড়া সুদ  গ্রাহকের উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। অবশ্যই সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আসতে হবে।’

আগামী ২২ মার্চ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে। বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। এ সময় সরকারের সবগুলো মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে যেন সেদিন নানা আয়োজন থাকে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা যেহেতু সরকারের অর্জন তাই দলের চেয়ে ঘটা করে নানা আয়োজন সরকারের থাকা উচিত।’

নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে এই সভা ডাকেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সভায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক প্রকাশ করা হয়। সেই সঙ্গে হতাহতদের পাশে দাঁড়াতে এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।

এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে হতাহতদের বিষয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরা হয়। নিহতদের শনাক্ত করা ও দেশে ফিরিয়ে আনতে কিছু সময় লাগবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত সব রকম পদক্ষপ গ্রহণ করছে সরকার।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031