আমরা একদিকে নদীর ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং করছি, অন্যদিকে সংস্কার করছি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন। নদী খননের কাজ একদিনে শেষ হবে না। নদী খননের জন্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এ সময় বড়াল নদী মুক্ত করতে অবিলম্বে সীমানা নির্ধারণের জন্য তিনি নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একইসাথে বড়াল নদীর সকল বাঁধ, স্লুইস গেট অপসারণ ও খনন করে নাব্য ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণের কথাও জানান নৌমন্ত্রী।
বিশ্ব নদী রক্ষা দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকালে পাবনার চাটমোহর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বড়াল নদী রক্ষার দাবিতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই আরিচা থেকে পাবনা ফেরি চলাচল শুরু হবে। মাত্র ছয কিলোমিটার নদী পার হয়ে খুব সহজেই ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে পাবনাসহ উত্তর জনপদের মানুষ। ঢাকায় যেতে যমুনা সেতু দিয়ে আর যাতায়াত করতে হবে না। এতে খরচ ও সময় দুটোই বাঁচবে। ১৮ মার্চ চালু করা হবে গাইবান্ধর বালাসী ঘাটের ফেরি সার্ভিস।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, বড়াল রক্ষা আন্দোলন, চলনবিল রক্ষা আন্দোলন, এএলআরডি, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি, এলডিও এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার, প্রাক্তন মৎস্য ও পশুসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নাটোর-৪ আসনের এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল মতীন, পাবনার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক।
চাটমোহর পৌরসভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলালের সভাপতিত্বে সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য ডা. অঞ্জন ভট্টাচার্য। সভা পরিচালনা করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান।