চট্টগ্রামে নগরীতে বাংলা বর্ষবিদায় ও নববর্ষ বরণ উপলক্ষে নগরীর ডিসি হিল, সিআরবি, বাওয়া স্কুল প্রাঙ্গন, শিল্পকলা একাডেমি, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সহ জনসমাগম হবে এমন বেশ কয়েকটি এলাকাকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে পুলিশ ও র্যাব।
চট্টগ্রামে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের আয়োজনকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর ২টা থেকে আয়োজনস্থল ঘিরে দায়িত্ব পালন শুরু করবে পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা টিম।
নগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নগরীতে এবার প্রায় এক হাজার দু’শ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। এদের মধ্যে আছেন সাদা পোশাকধারী ও নির্দিষ্ট পোশাকধারী পুলিশ এবং আর্মড ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা। এর বাইরে নিয়মিত এবং থানা ও ফাঁড়ির সদস্যরাসহ ৯২টি পয়েন্টে ২ হাজার ২৫০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। নগরজুড়ে ৩২টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হবে।ডিসি হিল, সিআরবি সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় উৎসবে প্রবেশের সময় পুলিশ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করবে। এছাড়া পুরো প্রাঙ্গনে বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে অবস্থান নেবেন পুলিশ সদস্যরা। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টেও পুলিশ অবস্থান নেবে। এর বাইরে পুরো নগরীতে থাকবেন নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও বিশেষ শাখার সদস্যরা।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) ডিআইজি একেএম শহীদুর রহমান বলেন, বৈশাখী উৎসবের আয়োজকদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং আমাদের নিজস্ব বিবেচনা অনুযায়ী সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আশা করছি সুন্দরভাবেই বৈশাখের সব আয়োজিন সমাপ্ত হবে।
সূত্র জানায়, বৈশাখী উৎসবের আয়োজকদের সন্ধ্যার আগেই অনুষ্ঠান শেষ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর কাউকে অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে দেবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে বর্ষবিদায়ের বিকেলে এবং বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল সৈকতসহ আশপাশের এলাকায় প্রচুর জনসমাগম হবে বলে মনে করছে পুলিশ।
এজন্য পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার পরিকল্পনা করেছে। সমুদ্রসৈকতকে ঘিরে শতাধিক পুলিশ এবং ট্রাফিক বিভাগের একাধিক টিম বুধবার সকাল থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছে।
এদিকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) কাজী আবদুল আউয়াল জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে উপজেলা সদরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ১৫০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।
র্যাব সূত্র জানায়, র্যাবের চট্টগ্রাম জোন থেকে ২৩০ জন সদস্য বিভিন্ন ইউনিটে বিভক্ত হয়ে নগরীতে টহল দেবেন। এর বাইরে সাদা পোশাকধারী ৮২ জন সদস্য বিভিন্ন উৎসব প্রাঙ্গনে মোতায়েন থাকবেন। র্যাব নগরীর বিভিন্ন স্পট ছাড়াও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।