ইজাজুল মিয়া নামে এক অটোরিকশা চালকগত বছরের ২৯ অক্টোবর সুপারস্টার নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ আদালতে ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা করেন । ইজাজুলের অভিযোগ, ‘রাজনীতি’ ছবির একটি সংলাপে তার ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। অসংখ্য মেয়েসহ শাকিব-ভক্তদের ফোনকলে তিনি অতিষ্ঠ। যেটা তার পরিবারেও সমস্যা সৃষ্টি করেছে। ওই মামলায় তিনি ছবির প্রযোজক আশফাক আহমেদ ও পরিচালক বুলবুল বিশ্বাসকেও আসামি করেন।
ইজাজুল মিয়ার দায়ের করা সেই মামলা থেকে নায়ক শাকিব খানের নাম বাদ দিয়ে বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সম্পা জাহানের আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম।
তদন্ত প্রতিবেদন থেকে শাকিবের নাম বাদ দেয়ার ব্যাপারে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সিনেমাতে যারা অভিনয় করেন, তারা পরিচালকের নির্দেশনা মেনে শুটিং করেন। পরিচালক যে সংলাপ বলতে বলেন, নায়ক-নায়িকারা তাই বলেন। সিনেমার সংলাপের ব্যাপারে সাধারণত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কোনো মতামত থাকে না। আলোচ্য মামলায় নায়ক শাকিব খান ফোন নম্বরটি ব্যবহার করেছিলেন পরিচালকের নির্দেশে। কাজেই, তাকে বাদ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।’
এদিকে, মামলার প্রধান আসামি নায়ক শাকিব খান ভারতে শুটিংয়ে ব্যস্ত। যার কারণে তিনি হবিগঞ্জের আদালতে উপস্থিত হননি। অপর দুই আসামি অর্থাৎ ‘রাজনীতি’ছবির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও প্রযোজক আশফাক আহমেদ হবিগঞ্জ আদালতে গিয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী ১০ মে।
প্রসঙ্গত, ‘রাজনীতি’ ছবির একটি সংলাপে নায়ক শাকিব খান নায়িকা অপু বিশ্বাসকে গ্রামীনফোনের একটি মোবাইল নম্বর দেন। কাকতালীয় ভাবে সেটি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজলার যাত্রাপাশা গ্রামের ইজাজুল মিয়ার মোবাইল নম্বরের সঙ্গে মিলে যায়। প্রতিদিন শাকিব-ভক্তদের অগণিত কল আসতে থাকে তার মোবাইলে। অপরিচিত অনেক মেয়েরাও ফোন করতে থাকে তাকে। স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত সন্দেহে স্ত্রী মিশু আক্তার ১৬ মাস বয়সী মেয়ে ইমুকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। এরপরই বাধ্য হয়ে ছবির নায়ক, পরিচালক ও প্রযোজকের নামে মামলা করেন ইজাজুল।