এক কলেজ শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত হাইকোর্টের জামিন আদেশ জালিয়াতি করে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন নিতে যাওয়ায় খুলনার কয়রার । তার নাম মো. রবিউল ইসলাম।
মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রেজাউল করিম এ আদেশ দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের পিপি অলকা নন্দা দাস এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক কয়রা সরকারি মহিলা কলেজের (আইসিটি) বিভাগের সহকারী প্রভাষক। তিনি ১নং কয়রার মো. আশরাফ আলীর ছেলে। কয়রা থানায় দায়ের হওয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলার আসামি তিনি।
ওই মামলার বাদী লায়লা বেগম জানান, আদালতের আদেশক্রমে ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কয়রা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(খ)ধারায় শিক্ষক মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তিনি পলাতক থেকে হাই কোর্টের ক্রিমিনাল মিস ২৯৩৯/১৭ নং জামিন আদেশ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে অস্থায়ী জামিন নেন। পরবর্তীতে হাই কোর্টের ক্রিমিনাল মিস ২৯৩৯/১৭ নম্বরের সূত্র ধরে খোঁজ খবর নেন বাদী পক্ষ। হাই কোর্টে এই নম্বরের তল্লাশিতে বেড়িয়ে আসে আসল রহস্য। নম্বরটি সঠিক হলেও এটি রংপুর বিভাগের একটি মামলার ক্রি. মিস কেস নম্বর বলে হাই কোর্ট থেকে তারা নিশ্চিত হন।
মঙ্গলবার মামলার আসামি কলেজ শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম ওই জালিয়াতি আদেশের বলে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। একই সাথে বাদী পক্ষ ওই আদেশের হাই কোর্টের সার্টিফায়েড কপি দাখিল করেন। আদালতের বিচারক শুনানি শেষে মো. রবিউল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।