আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ জমি দখলে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কামরান শাহিদ প্রিন্স মোহাব্বতকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে । তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে পেয়ে তাকে কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আগের দিন একটি জাতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদনে যুবলীগ নেতা প্রিন্স মোহাব্বতের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ আনা হয়। আর এই প্রতিবেদনের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা মেলায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধঅন্ত নেয়া হয়।
যুবলীগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উক্ত প্রতিবেদনে জমি দখল সংক্রান্ত বিস্তারিত সংবাদে জনাব মোহাব্বতের কর্মকাণ্ড বর্তমান সরকারের নীতিমালা এবং নৈতিকতা ও জনস্বার্থ পরিপন্থী বলে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে কামরান শাহিদ প্রিন্স মোহাব্বতকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে সংগঠনের চেয়ারমান বরাবর কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে।
কামরান শাহিদ প্রিন্স মোহাব্বত ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার আশায় তিনি ও তার সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যম এবং এলাকায় নানাভাবে প্রচার চালাচ্ছেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়রির নির্বাচনেও কামরান একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।