আজ মঙ্গলবার কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি)হাসাপাতালে ভর্তি আহত ও নিহতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ।
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার বিমানটির ২২ আরোহীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্য নয়জন বাংলাদেশি রয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলার একটি কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয়। এখন পর্যন্ত বিধ্বস্ত বিমানটির ৫০ জন মারা গেছেন। ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের ওই বিমানে ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৬৭ জন ছিলেন যাত্রী, চারজন ক্রু ছিলেন।
যাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশের ৩২ জন, নেপালের ৩৩ জন, চীনের একজন ও মালদ্বীপের একজন যাত্রী ছিলেন বলে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি চারজন নারীসহ আটজন মারা গিয়েছেন। জীবিতদের মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ছয়জন, সার্জারি ওয়ার্ডে একজন, প্লাস্টিক ওয়ার্ডে তিনজন ভর্তি আছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ছয়জনকে।
কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি বাংলাদেশিরা হচ্ছেন- ইমরানা কবীর হাসি, মো. কবীর হোসেইন, শেখ রাশেদ রুবায়েত, সৈয়দা কামরুন নাহান স্বর্ণা।
সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন মেহেদী আলম। প্লাস্টিক ওয়ার্ডে ভর্তি শাহরিন আহমেদ, আলমুন নাহার অ্যানি, শাহীন ব্যাপারী। রিজওয়ানা আবদুল্লাহ নামে একজন যাত্রীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া বাংলাদেশিরা হচ্ছেন- পাইলট পৃথুলা রশীদ, রকিবুল হাসান এবং খাজা হোসাইন।