বিমানটির বাংলাদেশি কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
নিজের জীবনের বিনিময়ে বিমানটির ১০ নেপালি যাত্রীকে বাঁচিয়েছেন তিনি। ইউএস-বাংলার প্রথম নারী পাইলট প্রিথুলা নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টা ১৮ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার সময় ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।
এতে বিমানটিতে থাকা ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনই মারা যান। এর মধ্যে পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ ও ক্রু খাজা হোসেন রয়েছেন। অন্যদিকে বেঁচে আছেন ক্রু কে এইচ এম শাফিসহ ২২ জন।

দুর্ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ‘সিকিম ম্যাসেঞ্জার’ নামে একটি পেজে প্রিথুলার মহানুভবতার কথা তুলে ধরে বলা হয়, ‘আজ নেপালি নাগরিকদের বাঁচাতে গিয়ে বাংলাদেশি কন্যা তার নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে কাঠমান্ডুতে আজ এই বাংলাদেশি তরুণী পাইলট মারা গেছেন।
তার নাম মিস প্রিথুলা রশিদ। তিনি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট বিএস২১১) কো-পাইলট ছিলেন। যেটি আজ নেপালের কাঠামান্ডুতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছে। যাই হোক, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ১০ নেপালি নাগরিককে রক্ষার চেষ্টা করে গেছেন। যাদের সবাই জীবিত আছেন।’
প্রিথুলার ফেসবুক পাতা থেকে জানা যায়, তিনি ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যুক্ত।
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর তিনি আরিরাং এভিয়েশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিমান চালনার ওপর ডিগ্রি নেন।

ফেসবুকের শেষ স্ট্যাটাসে প্রিথুলা লিখেছিলেন- খোদা হাফেজ। ইথিওপিয়া বিমানবন্দরে গত ১৮ জানুয়ারি দেয়া ওই স্ট্যাটাসের পর তিনি আর কোনো স্ট্যাটাস লেখেননি।
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বুলে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশে আসার সময় তিনি এ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি আর কোনো স্ট্যাটাস দেননি। এর পর তিনি শুধু (গত ৩ ফেব্র“য়ারি) তার প্রিয় বিড়ালকে কোলে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031