চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার মো. ইকবাল বাহার বলেছেন।থানা পর্যায়ে সেবা নিশ্চিত ও আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পুলিশের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করা হবে ।
শুণ্য গোয়াল ভালো দুষ্ঠু গরুর ছেয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশের অভ্যন্তরীন শৃংখলা ও নীতি নৈতিকতা ধরে রেখে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা একটি সংগ্রাম উল্লেখ করে এই সংগ্রামে পুলিশের পাশে থাকার জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রতি আহবানও জানান নতুন সিএমপি কমিশনার।
সোমবার ( ১২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে সিএমপির কনফারেন্স হলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নতুন কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ৬০ লাখ নগরবাসীর নিরাপত্তা ও সেবার জন্য সিএমপির সাত হাজার পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। নগরীর যানজট সহ বিভিন্ন সমস্যায় তাৎক্ষনিক সেবা পৌছে দিতে না পারলেও অনান্য পুলিশি সেবা নিশ্চিত করা হবে।
এসময় তিনি সিএমপির ওপেন হাউজ ডে সম্পর্কে বলেন, “এই সেবাটি কোন নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা সময়ে নয় বরং যেকোন সময় যেকোন পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
মিডিয়াতে তথ্য সরবরাহের জন্য একজন অতিরিক্ত উপ কমিশনারের নেতৃত্মাবে বিশেষ একটি টিম কাজ করবে বলেও জানান সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
তিনি বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিক একটি মুদ্রার এপিঠ ও ওপিঠ একজন পুলিশের ন্যয় সাংবাদিকরাও দেশের সেবা করে যাচ্ছে। দৃষ্টিভঙ্গি যার যেমন থাকুক না কেন উদ্দেশ্য সবার দেশের সেবা ও উন্নয়ন। প্রত্যেকটি সমাজে একাদিক দলমত থাকবে সকল দলমতের ঐক্যতার মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করবো ।
এময় তিনি থানা পর্যায়ে বিভিন্ন অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার অর্থের বিনিময়ে সেবা দেয়ার ব্যাপারে বলেন, অর্থের বিনিময়ে সেবা প্রদানের প্রথা পুরোপুরি বন্ধ না করতে পারলেও কঠোর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে।
“দুষ্ট গরুর চেয়েও শুন্য গোয়াল ভালো, অপরাধী পুলিশ হলেও তাকে কোন মতে ছাড়া হবেনা, অপরাধী যেই হোক একটি গনতান্ত্রিক সমাজের পুলিশ তাকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে, উল্লেখ করেন তিনি।
ইকবাল বাহার বলেন, “অভ্যন্তরীন শৃংখলা এবং নীতি নৈতিকতার বাইরে কোন পুলিশ সদস্য গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এসময় অনলাইনের মাধ্যমে থানায় সাধারণ ডায়েরী করার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এধরনের পরিকল্পনা যদিও এখনো নেয়া হয়নি তবে জিডিসহ আরো কিছু সেবা অনলাইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা লক্ষ্যে খুব শীঘ্রই পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে। এছাড়া প্রত্যেকটি এলাকায় একটি করে পুলিশ বিট স্থাপন করা হবে যেখানে একজন অফিসারের মাধ্যমে এলাকাবাসী যেকোন সেবা তথ্য খুব সহজে গ্রহণ করতে পারে।