উদ্ধারকাজে থাকা দেশটির সেনাবাহিনীতথ্য দিয়েছেন।নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে, বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা। পরীক্ষার জন্য সেটি পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নারায়ন প্রসাদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এখন যতো দ্রুত সম্ভব দুর্ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিমানের লোহা কেটে হতাহত যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর নিহতদের মরদেহ ঘটনাস্থলের পাশেই সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণে ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সব ধরনের বিমান উঠানামা এখন বন্ধ রয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক মার্কিন নাগরিক জানিয়েছেন, বিমানটি মাটির খুব কাছে দিয়ে উড়ে আসছিল।
প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন সেটি সম্ভবত পাহাড়ের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু পরক্ষণেই দেখেন সেটি মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে তাতে আগুন ধরে যায়। এরপর আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটে বলেও জানান তিনি।
অবশ্য অগ্নি নির্বাপন দল ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী আমেন্ডা সুমারস জানান, বিধ্বস্ত বিমান থেকে যে পরিমাণ ধোঁয়া বের হয় তাতে পুরো আকাশ কালো হয়ে যায়।
এদিকে ইউএস-বাংলা এয়ারের একটি সূত্র পরিবর্তনকে জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানে ৩৩ জন নেপালী, ৩২ বাংলাদেশী, একজন মালদ্বীপের এবং এক চীনা নাগরিক ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে দুজন শিশু ছিল বলেও পরিবর্তনকে জানিয়েছেন তিনি।
এস২-এডিইউ মডেলের ৭৮ আসনের টুইন টার্বো প্রোপ বিমানটি ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুতে পৌঁছানোর পর অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এরপর পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিলেন।