প্রধান বৈমানিক আবিদ সুলতান বেঁচে আছেন বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস–বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটির । তবে উড়োজাহাজটির আরেক বৈমানিক পৃথুলা রশিদ মারা গেছেন বলে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া তথ্যে জানা গেছে। ৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রোববার দুপুরে বিধ্বস্ত হয় ইউএস–বাংলার ড্যাশ উড়োজাহাজটি। ইউএস বাংলার ফার্স্ট অফিসার রিজওয়ান আহমেদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটিতে ক্যাপ্টেন ছিলেন আবিদ সুলতান। ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা ছাড়াও ক্রু হিসেবে ছিলেন নাবিলা ও খাজা হোসেন। কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃতের তালিকায় ক্রু খাজা হোসেনের নাম রয়েছে।
বৈমানিক আবিদ সুলতান বেঁচে আছেন বলে বলে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আসিফ ইমরান সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সাংবাদিকদের জানান। ক্যাপ্টেন আবেদ সুলতানের ৫ হাজার ঘণ্টার বেশি ফ্লাই করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র আবিদ বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ছিলেন। তার একজন বন্ধু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিমান বাহিনীতে আবিদের মিগ–২১ চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের সময়কালে আবিদই ছিলেন সব থেকে ‘ব্রাইট অফিসার’। নেপালের বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ড্যাশ ৮–কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট বিমানটি ক্যাপ্টেন আবিদই কানাডা থেকে বাংলাদেশে উড়িয়ে এনেছিলেন। আবেদ সুলতান আগে বেসরকারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে ছিলেন।