বিমানটি রানওয়েতে নামতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটি কাঁপছিলো নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ বাংলাদেশী একজন যাত্রী বলেছেন। তারপরই হঠাৎ তাতে আগুন ধরে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশী ছাত্র আশীষ কুমার সরকার বলেছেন, তিনি বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন বাংলাদেশে ফেরার জন্যে। ইউ-এস বাংলার এই বিমানে করেই তার ঢাকায় ফেরার কথা ছিলো।
‘আমার চোখের সামনেই সবকিছু হলো। বোর্ডিং পাস হাতে নিয়ে আমি অপেক্ষা করছিলাম। এসময় এই দুর্ঘটনা ঘটে’ বলেন তিনি।
মি. সরকার বলেন, ‘এসময় আমি মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ছবি তুলছিলাম।
আমি দেখলাম ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটি কাঁপছিলো। মনে হচ্ছিলো যে ওটা মনে হয় ঠিক মতো ল্যান্ড করতে পারছিলো না। তারপর দেখলাম যে হঠাৎ করে বিমানে আগুন ধরে গেছে।’
মি. সরকার জানান, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এসব ঘটলো। কিন্তু শুরুতে কেউই যেন বুঝতে পারছিলো না যে আসলে কি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সেসময় যেসব বিমান অবতরণ করার জন্যে রানওয়ের কাছাকাছি চলে এসেছিলো এরকম কয়েকটা বিমানকে তিনি অবতরণ করতে দেখেছেন।
কিন্তু এর কয়েক মিনিট পর থেকে তিনি আর কোন বিমানকে উড়তে বা নামতে দেখেন নি। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই তিনি কোনো উদ্ধার তৎপরতা দেখতে পান নি। মি. সরকার নেপালে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তিনি জানান যে ইউএস-বাংলার কোনো কর্মকর্তা তখনও পর্যন্ত অপেক্ষমাণ যাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করেনি। তাদের কাউন্টারও বন্ধ ছিলো বলে তিনি জানান।
সূত্র: বিবিসি