লাঞ্চিত নির্যাতিত অসহযোগীতার অভিযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ যেখানে মানবাধিকার নেতার কাছে যাওয়ার কথা সেখানে উল্টো মানবাধিকার নেতা চিকিৎসকের কাছে লাঞ্চিত, অসহযোগিতায় হতাশ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ডাক্তার জয় দত্ত বড়ুয়ার বিরুদ্ধে খোদ অভিযোগটি করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরাম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোঃ এসকান্দর চৌধুরী। অভিযোগ পর্যন্তই শেষ নয় অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন, স্থানীয় সাংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম, পরিচালক স্বাস্থ্য বিভাগ,চট্টগ্রাম,সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যানকে।
অভিযোগ পত্রে এসকান্দর চৌধুরী উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার জনগনের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও অন্যান্য মাধ্যম চালু করেছেন। তাছাড়া জনগণের টাকাই চিকিৎসকগণ পেয়ে থাকেন। আমার মেয়ে তাজিন সুলতানা খুবই অসুস্থ্য হওয়ায় গত ২ মার্চ ২০১৮ রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। গরীব হওয়ায় অনেক অনুরোধ করে পটিয়া হাসাপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের ৫ নং বেডে ভর্তি করি। ভর্তির কিছুক্ষণ পর মেয়ের হঠাৎ ঘাড়ের ব্যাথা বেড়ে যাওয়ায় নার্সকে জানালে নার্স আমাকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাহায্য নিতে বলেন। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার জয় দত্ত বড়ুয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করি। মেয়ের অসুস্থ্যতা বেড়ে গেলে দিকবিদিক ছুটোছুটি করতে থাকি হাসপাতালে। উপায় না পেয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের রুমে নিরুপায় হয়ে ঢুকে পড়ি। সালাম দিয়ে আমার মেয়ের সমস্যার কথা বলি। অনেকক্ষণ পর গেলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমার রোগীর খোঁজখবর না নিয়ে উল্টো আমাকে অস্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে বলেন ‘আমাকে স্যার বলনি কেন। তোমাদের মত মানুষকে লাঠি দিয়ে কুকুরের মতন পেটানো দরকার’। একদিকে মেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় অপরদিকে চিকিৎসকের আচরণে আমি হতাশ হয়ে পড়ি। আরও খারাপ আচারণ করেন যা আমার পক্ষ্যে বলা অসম্ভব।
দুঃখের বিষয় আমি একজন সচেতন নাগরিক তাছাড়াও বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরাম চট্টগ্রামের দক্ষিণ জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আমাকেও যদি এভাবে চিকিৎসকের নিকট থেকে অস্রাব্য গালিগালাজ শুনতে হয় তাহলে একজন সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে? প্রশ্ন রাখেন প্রতিবেদকের কাছে।