আজ সোমবার নগরির মাকাতি সিটি রিজিওনাল আদালতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোট ১০ লাখ ডলার চুরি করে আরসিবিসির জুপিটার শাখার মাধ্যমেই হ্যাকারের দল ডলারগুলো হাতিয়ে নেয়।অর্থ সরানোর ঘটনায় সহায়তা করার জন্য দেগুইতোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে ফিলিপাইনের ক্যাসিনোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ লোপাটের ঘটনায় বিশ্বব্যাংক বলেছে, কালো টাকার ফাঁক ফোঁকর বন্ধে ক্যাসিনোগুলোকে অ্যান্টি মানি লন্ডারিংয়ের আওতায় আনতে হবে। বিশ্বব্যাংক জানায়, ক্যাসিনোগুলোকে মানি লন্ডারিংয়ের অন্তর্ভূক্ত করলে ফিলিপিনো সরকার খুব দক্ষভাবে জুয়া শিল্প নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া মিলিয়ন ডলারের খোঁজ ম্যানিলাতেই পাওয়া গেছে। ফিলিপাইনের প্যানেল নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার লুটের ঘটনা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। এর সাথে দুইটি ক্যাসিনো এবং একজন জাংকেট অপারেটর জড়িত আছে। এটি ইতিহাসের সব চাইতে বড় সাইবার হ্যাকের মধ্যে অন্যতম। যদিও সরকার চুরির টাকার কিছু অংশ উদ্ধার করেছে।
তবে এই ক্ষেত্রে মানি-লন্ডারিং আইনের সংস্কার করা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন বিশ্ব ব্যংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ রোজিয়ার ভ্যান ডেন ব্রিংক । তিনি ফিলিপাইনের গণমাধ্যম ম্যানিলাকে বলেন, ক্রুটিগুলো অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। এটি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে ক্যাসিনো অ্যান্টি মানি লন্ডারিং এর আওতাভূক্ত আছে। ২০০১ সালে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং আইন খুব ভালভাবে সূচনা করছিল। কিন্তু ফিলিপাইনের অবশ্যই এটি সংস্কার করা উচিত। যাতে তারা নিশ্চিত হতে পারে যে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন সত্যিকার অর্থে প্রভাব ফেলতে না পারে।