অনেক দিন ধরেই বাফুফে সভাপতি ও দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে বিবাদ চলে আসছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদেরের মধ্যে।কাদেরকে সমর্থন করছেন মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া এবং সাবেক ফুটবলার ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানি হেলাল।মূলত ‘ফুটবল বাঁচাও’ কমিটির পিছনের মূল ব্যক্তি এ তিনজনই।
লোকমান হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। লোকমান বিসিবি পরিচালকও বটে। বিসিবি পরিচালক মঞ্জুর কাদেরও। এসব কারণেই সালাহউদ্দিন বিরোধী জোটে যোগ দেন নাজমুল হাসান পাপন। এমন বিশ্লেষন অনেকেরই।
কিছুদিন আগে পাপনের বাসায় গিয়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে আসেন ‘ফুটবল বাঁচাও’ কমিটির লোকজন। পাপন তাদেরকে বিষয়টা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের আশ্বাস দেন।জানা গেছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টা বলেছেনও। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নাকি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, বাফুফে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার এক নম্বর পছন্দ সালাহউদ্দিনই।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নাকি ফুটবল নিয়ে চলমান বিবাদে বিরক্ত। তিনি নির্বাচনে যেটা হয়, সেটা মেনে নেওয়ার জন্য স্পষ্ট বলে দিয়েছেন। আর এখানেই ‘ফুটবল বাঁচাও’ এর নামে আন্দোলনকারীদের পরাজয় দেখছেন সালাহউদ্দিন সমর্থকরা।
ভোটের যা হাওয়া তাতে নির্বাচন হলে ‘ফুটবল বাঁচাও’ কমিটির কোনক্রমেই পেরে ওঠার কথা নয়।৩০ এপ্রিলের নির্বাচনে মোট ভোটার ১৩৪। মনে করা হচ্ছে, সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক ভোট হলে সিংহভাগ ভোটই যাবে সালাহউদ্দিনের প্যানেলে।
জানা গেছে, ‘ফুটবল বাঁচাও’ কমিটির লোকজন এই পর্যায়ে বেশ হতাশ। তারা আশা করেছিলেন, পাপনকে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সালাহউদ্দিনকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে পারবেন।কিন্তু সেটা হয়নি।
এখন পর্যন্ত তারা সভাপতি পদে কাউকে চূড়ান্ত করতে পারেনি। যদিও ‘ফুটবল বাঁচাও’ কমিটির একজন কর্মকর্তার দাবি, ‘আমরা নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।আমাদের পুরো প্যানেলও ঠিক হয়ে গেছে। সময় হলেই জানতে পারবেন।’ – See more at: http://www.dhakatimes24.com/2016/04/11/108983#sthash.QZKvCHXw.dpuf