দুই সাংবাদিক নয়াপল্টনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ডিবি পরিচয়ে সাদা পোষাকধারী কয়েকজন দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার কামরুল হাসানকে হোটেল ভিক্টরীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে পাশের গলি ও পরে হোটেলের লবিতে নিয়ে যায়। সেখানে কামরুলকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ফেসবুক আইডি ঘাটাঘাটি করে। পরিচয়পত্রের ছবি তুলে বলে ‘তোকে টার্গেটে রেখেছি।’ কিছুক্ষণ পর একই বিটে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে কামরুলকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নয়াপল্টন গেলে হোটেল ভিক্টোরিয়ার সামনে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলাদেশ জার্নালের স্টাফ রিপোর্টার কিরণ শেখকে ঘিরে ধরে পরিচয় জানতে চায় পুলিশ। কিরণ নিজের পরিচয় দিয়ে কার্ড বের করলে পল্টন থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কুবায়েত তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে দেয়।
কিরণ প্রতিবাদ করলে তাকে চড় ও লাথি মারতে মারতে রাস্তায় ফেলে দেয়। তারপর অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে বলেÑ ‘একদম চুপ, কোনো কথা বলবি না। যেদিক থেকে এসেছিস সেদিকে ফিরে যা’। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর এমন নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের ওপর পুলিশী নির্যাতনের প্রতিবাদে ডিআরইউ চত্ত্বরে সাংবাদিকরা মানববন্ধন করবে আজ। এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।