প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফেরার মধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।
সোমবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর কাছে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে পাক হানাদাররা আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেন অপূর্ণ ছিল। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরলেই সেই স্বাধীনতা পূর্ণ হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশেই সাধারণ মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। ২৫শে মার্চ রাতে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু পাক হানাদাররা। তখন ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিল, যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিলো তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছে জিয়াউর রহমান।
এর আগে, সোমবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং চার ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে সভার সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে উপস্থিত হন। দুপুর ১২টার পর থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পাশ ঘেষে তৈরি মঞ্চটি দক্ষিণমুখী। নেতাকর্মীদের প্রবেশের জন্য টিএসসি সংলগ্ন গেট, রমনা কালিমন্দির সংলগ্ন গেট ও ভিআইপিদের জন্য শিখা অনির্বাণ সংলগ্ন গেটটি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। দিকে দুপুর ১২টার পর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীরা দলে দলে আসতে শুরু করেন। নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্মিলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করছেন। এসময় তাদের স্লোগানে উদ্যান এলাকায় মুখরিত হয়ে উঠে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ২৪ দিন পর পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষেই রবিবার সমাবেশ করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। বিশ্ব ইজতেমার কারণে একদিন পিছিয়ে সোমবার সেই সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে রবিবার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়।