ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন,সিম পুনঃনিবন্ধনের পক্ষে সারাদেশের মানুষ ‘জামায়াত -শিবির, বিএনপি ও অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা সিম পুনঃনিবন্ধনের বিপক্ষে।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলালিংকের ৬৪ জেলাতে একযোগে আঙুলের ছাপে সিম পুনঃনিবন্ধনের জন্য রোড শো উদ্বোধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অন্যায় যারা করে তাদের অনেক অর্থ। যুক্তরাজ্য থেকে এসব শক্তি ফেসবুকে প্রায় ১৫টি পেজ খুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশ ও জাতির মানুষ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। দেশের মানুষ নিঃসন্দেহে বুঝতে পারবে নিরাপত্তার জন্য এই পুনঃনিবন্ধনের গুরুত্ব।’
তারানা বলেন, ‘আঙুলের ছাপে সিম পুনঃনিবন্ধনের প্রক্রিয়া আমরা এমনি এমনি শুরু করিনি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর সিম নিবন্ধনের ব্যাপারে জানতে গিয়ে দেখলাম এতে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। একটি জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে নিবন্ধন করা হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি সিম। যা খুব দুঃখজনক। সিম কিনতে হলে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দরকার হতো। ফটোকপি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীকে চেনা কষ্টসাধ্য ছিল। তাই আমরা জাতীয় পরিচয় পত্রের মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখছি।’
সিম পুনঃনিবন্ধনে সকলকে উৎসাহিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। যারা আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করছেন বলে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন তারা ভুল প্রচারণা করছেন। মূলত সরকারের অনেকগুলো ভালো কাজের মধ্যে এটি অন্যতম।
এপ্রিলের ৩ তারিখ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি সিম পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ আমরা এপ্রিলের মধ্যেই সিম পুনঃনিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এপ্রিলের পর থেকে যেসব সিম পুনঃনিবন্ধিত হবে না সেসব সিম প্রথমে দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রেখে সতর্ক বার্তা প্রেরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে চার, ছয় ঘণ্টা বন্ধ রেখে সিম ডিঅ্যাকটিভ করে দেয়া হবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আঙুলের ছাপ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার এবং সারাদেশে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের কার্যালয় সহ ৫১৪ টি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় আঙুলের ছাপ নিবন্ধনে সহযোগিতা করছে। সারাদেশে ডাকঘরগুলোতেও সিম রি-ভেরিফিকেশনের জন্য বুথ বসাতে আমরা মোবাইল অপারেটরদের অনুমতি দিয়েছি।’
সিম পুনঃযাচাইয়ের ক্ষেত্রে যারা অর্থ আদায় করবেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা প্রসঙ্গে তারানা হালিম বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা রিটেইলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানানোর জন্য ২৮৭২ নম্বর চালু করা হয়েছে। এ নম্বরে যেকোনো মোবাইল অপারেটরের সিম থেকে অভিযোগ জানাতে পারবে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের মোবাইল টিম দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদ ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচীব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বাংলালিংকের সিএফও শিহাব আহমেদ প্রমুখ।