সুপ্রিমকোর্টর আপিল বিভাগ ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও অফিসার ক্যাশ পদের দেয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ২২০১টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা তুলে নিয়েছে।
ফলে ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ২২০১টি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে পাঁচটি লিভ টু আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু, কামরুল হক সিদ্দিকী ও রফিকুর রহমান।
পরে মেহেদী হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, চাকরিপ্রার্থীদের পাঁচটি লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। আর পরীক্ষাসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর থেকে আগের দেয়া স্থিতাবস্থা তুলে নিয়ে আদেশ দিয়েছে আদালত। এখন ২২০১টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর কোনো আইনগত বাধা নেই।
২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ২২০১ পদের বিপরীতে সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও অফিসার ক্যাশ পদে নিয়োগের জন্য তিনটি বিজ্ঞপ্তি দেয় সোনালী ব্যাংক। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ৪৭৪ চাকরি প্রত্যাশী।
ওই রিট আবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারির আগে ২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারি এক হাজার ৭০৭টি পদে নিয়োগের জন্য সোনালী ব্যাংক আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে তারা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু নিয়োগ না দিয়ে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দেয়ায় তারা রিট করেন। গত বছরের ২৭ জুলাই হাইকোর্ট তাদের রিট খারিজ করে দেয়। পরে তারা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে পৃথক পাঁচটি লিভ টু আপিল করেন তারা। ওই আবেদনের আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা দেয়।