একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর করা আবেদনের শুনানি হবে ৩ মে।
রবিবার সকালে আসামিপক্ষের আইনজীবীর করা সময় আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রীষ্মের ছুটিতে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। এ ছাড়া ১ মে সরকারি ছুটি। সবকিছু বিবেচনা করে ৩ মে নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়।
আপিল বিভাগের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ২৯ মার্চ আবেদন করেন নিজামী। দ্রুত রিভিউ শুনানির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৩০ মার্চ চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার বিষয়টি ৩ এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
রিভিউ আবেদন করার পর পর নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজীব মোমেন জানিয়েছিলেন, ৭০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে তারা মোট ৪৬টি যুক্তি তুলে ধরে সব দণ্ড থেকে খালাস চেয়েছেন। নিজামীর রিভিউ না টিকলে রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। দুই আর্জিই নাকচ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা নেবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত ৮টি অপরাধের মধ্যে ৪টিতে ফাঁসি ও ৪টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৩ নভেম্বর আপিল করেন নিজামী। ৬,২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে ৩টিতে ফাঁসি ও ২টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। অন্য তিনটিতে চূড়ান্ত রায়ে দণ্ড থেকে খালাস পান নিজামী।