কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যায় আজ পাঁচ জন সেনা সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিআইডির ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দের নেতৃত্বে একটি টিম বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তাদেরকে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।এই প্রথম তনু হত্যায় কোনো সেনা সদস্যকে এভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঠিক কী বলেছেন তা জানা যায়নি। আজ বিকালে সাড়ে ৪টার দিকে প্রথমে দুই সেনা সদস্যকে কুমিল্লা সিআইডি অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ দুই সেনা সদস্য লাশ উদ্ধারের সময় ওই এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন। পরে আরও তিন সেনা সদস্যকে একইভাবে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দায়িত্বরত সিআইডির টিমটি কুমিল্লা সিআইডি অফিসে আসে। এ টিম কুমিল্লায় অবস্থান করে মামলার কার্যক্রম তদারকিসহ পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করবে বলে সিআইডির সূত্র জানিয়েছে। তদন্ত দলটিতে আরও রয়েছেন কুমিল্লা সিআইডির সিনিয়র এসপি ড. নাজমুল করিম খান, ঢাকার সিনিয়র এএসপি এহসান উদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লার সিনিয়র এএসপি মোজাম্মেল হক, পরিদর্শক সৈয়দ গোলাম মাওলা ও পরিদর্শক মো.শাহনেওয়াজ ।
গত ২০ মার্চ তনু হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ও ডিবির হাত বদল হয়ে মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন কুমিল্লা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিম। গত ৩০ মার্চ সিআইডি ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে মামলার তদারকি করতে সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের এ দলটি গত ২ এপ্রিল ও ৩ এপ্রিল সেনানিবাস এলাকায় তনুর লাশ উদ্ধারের স্থানসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে। এ সময় দলটি তনুর মা- বাবা, ডাক্তার, নার্সসহ কিছু লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কুমিল্লা সিআইডির সিনিয়র এসপি ড. নাজমুল করিম খান বলেন, মামলার তদন্তে সহায়তা করতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করছি। তাই ঢাকা থেকে এ টিম এসেছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।