মারসেলি ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের । ফেব্রুয়ারি মাস হলেও সেখানে গ্রীষ্মের মতো আবহাওয়া। সূর্যের প্রখর রোদ ছড়িয়ে পড়েছে। চারদিকে চমৎকার করে সাজানো বাড়িগুলোর দেয়াল। যেন ভালবাসা, ক্রেজি ভালবাসা ছড়িয়ে আছে বাতাসে। এই মারসেলিতেই, এখানকার বাতাসেই যেন নিজের ভালবাসা খুঁজে পেয়েছেন পামেলা এন্ডারসন।
বেওয়াচ খ্যাত সেক্স সিম্বল পামেলা এন্ডারসনকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি এখানেই ফরাসি এক ফুটবলার আদিল রামির প্রেমে পাগলপারা। আদিল রামির সঙ্গে পামেলা এন্ডারসনের বয়সের ব্যবধান ১৮ বছর। রয়েছে ভাষার ব্যবধান। তা সত্ত্বেও আদিল রামির চেয়ে ১৮ বছরের বড় পামেলা তার মাঝেই হারিয়ে গেছেন ভালবাসার টানে। মারসিলেতেই তারা গত ছয় মাস একসঙ্গে বসবাস করছেন। এরই মধ্যে পামেলা এন্ডারসনের বয়স দাঁড়িয়েছে ৫০ বছর। তিনি অভিনেত্রী থেকে এখন নারীর অধিকারকর্মী। মন খুলে বলেছেন, কেন নতুন জীবন খুঁজতে তিনি মালিবু সৈকতের সেই বেওয়াচ শো ছেড়ে ফ্রান্স ছুটে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নারীবাদ, নিরামিশ ভোগী ও ঋতু¯্রাব নিয়ে তিনি কি ভাবেন তা শেয়ার করেছেন। বর্তমানে পামেলা একটি বই লিখছেন। এর নাম দিয়েছেন ‘সেভিং ওমেন ফ্রম ফেমিনিজম’। এসব নিয়ে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, এর আগে পামেলা এন্ডারসন হঠাৎ দেখা, হঠাৎ বিয়ে বা প্রেমে মডে যান। তার প্রথম স্বামীর নাম রকশিল্পী টমি লি। টমির সঙ্গে তার সাক্ষাতের চার দিনের মাথায় দু’জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বর্তমান প্রেমিক আদিল রামির সঙ্গে ৬ মাস ধরে একসঙ্গে লিভ টুগেটার করছেন। এখনও বিয়ের কথা জানা যায় নি। ফলে এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। ডেইলি মেইল লিখেছে, এর আগে পামেলা এন্ডারসন তিনটি বিয়ে করেছিলেন। তার আছে দুটি ছেলে। তিনি এখন অধিকারকর্মী। বিশেষ করে পশু, পরিবেশ ও শরণার্থী বিষয়ে তিনি প্রচারণা চালান। ওদিকে ফ্রান্সের ফুটবলার আদিল রামি আন্তর্জাতিক মানের একজন ডিফেন্ডার। তার উচ্চতা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। তিনি দু’ছেলে সন্তানের পিতা। ফ্রান্সে নারীদের অন্তর্বাসের এক মডেলের সঙ্গে একই রকম সম্পর্কে এই সন্তান দুটির জন্ম। গত গ্রীষ্মে সাক্ষাত হয় পামেলা এন্ডারসন ও আদিল রামির। তারপর থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখা যায় নি কখনো। আদিল রামি সম্পর্কে জানতে চাইলেই পামেলা এন্ডারসন কেঁদে ফেলেন। বলেন, আমি তাকে নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আমরা শুধু চাই আমাদের ভালবাসা সুরক্ষিত থাকুক। অনেক ভুয়া ও ফোনি ভালবাসা রয়েছে দুনিয়ায়। কেউ এসব জানতে চেষ্টা করে না। আবার এসব ভালবাসা স্থায়ীও হয় না। আদিল রামি এমন ভালবাসা চায় না। আমিও না। বিশ্ব দরবারে বেওয়াচ শো’র মাধ্যমে সেক্স সিম্বল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন পামেলা এন্ডারসন। তিনি বলেন, আদিল রামি আমার বিষয়ে গভীরভাবে যতœ নেয়। আমরা আমাদের এ সম্পর্ক নিয়ে ঘন্টা বাজাতে চাই না। তবে আমাদের ভালবাসা সুস্থ, বিস্ময়কর। আমাদের এই সম্পর্কের মধ্যে আমাদের সন্তানদের নিয়ে আসতে চাইছি। আর এক্ষেত্রে অদ্ভুত চমৎকার মানুষ আদিল রামি। সে আসলেই অসম্ভব একজন ভাল পুরুষ।
পামেলা এন্ডারসন মানবাধিকার নিয়েও কাজ করেন। তিনি শরণার্থীদের বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। আফ্রিকা থেকে প্রায় দিনই ইউরোপে শরণার্থী যাওয়ার কথা জানতে পারেন তিনি। পামেলা বলেন, যখনই আমি ভূমধ্যসাগরে পা রাখি, পতিবারই আমি এসব শরণার্থীর কথা স্মরণ করি। আমার হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। মারসেলিতেই স্থানীয় ফুটবল টিমে খেলেন আদিল রামি। তার খেলা দেখতে হাজির হন পামেলা। ভিআইপি স্ট্যান্ডে বসে তিনি খেলা দেখেন। তার মাথা ঢাকা থাকে পোশাকে। স্বর্ণালী চুল তাকে এমন একটি অভিব্যক্তি দেয় যে, দেখে মনে হয় নিজের ভালবাসার জগতে একটি আনন্দময় পাখির বাসায় বসে আছে একটি পাখি।