ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং মানুষের আয় বাড়ানোডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং মানুষের আয় বাড়ানো আমাদের মূল লক্ষ্য।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য দূর হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৬০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই বাঙালিরা উচ্চ পদে যেতে পারছে। সিভিল-মিলিটারি কোনো জায়গায় বাঙালিরা উচ্চ পদে ছিল না। দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই এখন সব উচ্চ পদে বাঙালিরা জায়গা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সব প্রতিষ্ঠান একটু একটু গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ’৭৫-এর পর সব থেমে যায়। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে আমরা আবার সিভিল সার্ভিসের উন্নয়নে কাজ শুরু করি। কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিফর্ম কমিশন (পিএআরসি) গঠন করি। কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নও করি। পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমাদের নেওয়া পদক্ষেপগুলো আর বাস্তবায়ন করেনি।
আমরা গত সাত বছরে অসংখ্য নতুন পদ সৃষ্টি করেছি এবং প্রচুরসংখ্যক পদোন্নতি দিয়েছি। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত আমরা ১১৩ জন সচিব, ৬০৯ জন অতিরিক্ত সচিব, ১৪১১ জন যুগ্ম সচিব ও ১৪৩৪ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছি। দেশের ইতিহাসে এত বেশি পদোন্নতি এর আগে দেওয়া হয়নি।
আমরা বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছি। জনপ্রশাসনে পদক দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছি। অবিলম্বে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।
এ ছাড়া জনগণের ‘জব স্যাটিসফ্যাকশন’ (চাকরির ক্ষেত্রে সন্তুষ্টি) আনতে ও দুর্নীতি দূর করতে বেতন বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।