ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের সমর্থনে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিল-সমাবেশে দফায়-দফায় হামলা করেছে । পুলিশের সামনে জোটের নেতাকর্মীদের বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগ।
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগরীর মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল ও নিউমার্কেট মোড়ে হামলার শিকার হয় ছাত্রজোট নেতাকর্মীরা। পুলিশ হামলাকারীদের প্রতিরোধ না করে জোটের নেতাকর্মীদের ঘেরাও করে তাড়িয়ে দেয়। ছাত্রলীগের কড়া অবস্থানের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও নামতে পারেনি ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নগর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, ছাত্রজোটের সাথে ছাত্রলীগের সামান্য সমস্যা হয়েছিল। বড় কোনো হামলা বা মারামারি নয়।
পুলিশ তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ স¤পাদক আতিক রিয়াদ বলেন, ধর্মঘটের সময় ছাত্রফ্রন্টের একজন নেতাকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে আটকে রাখে। তাকে উদ্ধারের জন্য এসে আরও ৭-৮ জন নেতাকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন।
এরপর আমরা মিছিল নিয়ে নিউমার্কেট মোড়ে এসে সমাবেশ করি। হঠাৎ সিটি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীরা বের হয়ে ইট-লোহার রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। নেতাকর্মীদের বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে ১০-১২জন নেতাকর্মী জখম হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের প্রতিরোধ না করে উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের লাঠি নিয়ে তাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে আজ সকালে বটতলী রেলস্টেশনে ধর্মঘট সমর্থনে একটা মিছিল করা ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যা¤পাসেও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কোন মিছিল-সমাবেশ হয়নি। শাটল ট্রেন ও বাস চলছে সময়মতো। বিভিন্ন বিভাগ ও ইনিস্টিটিউটের ক্লাস ও নির্ধারিত পরীক্ষাও হয়েছে।
সকাল থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মারমুখী অবস্থানের কারণে মূলত ছাত্রজোট নেতাকর্মীরা মিছিল-সমাবেশ করেনি বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
তবে চবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ধীষন চাকমা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ না করার বিষয়টি আমাদের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল। তাই আমরা ক্যা¤পাসে সমাবেশ করেনি, তবে শহর শাখার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিছিল ও সমাবেশ করেছি। ক্যা¤পাসে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা মো. আলমগীর টিপু বলেন, যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রাম মহানগরীর মোড়ে মোড়ে ও চবির ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছিল। ছাত্রলীগ অযৌক্তিক কোনো ধর্মঘট মানে না। তাই আগে থেকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেওয়া ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন বলেন, ক্যাম্পাসে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিপুল পরিমান আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ফলে ক্যাম্পাস শান্ত ছিল।