দাবি থাকলে আলোচনা হতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিরি সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন। কিন্তু গত ২৩শে জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ঘটনাটি বেপরোয়া যে মনোভাব ছিল, তাতে ধারনা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যার্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ভেতর থেকে। তিনি বলেন, যে কোনো ষড়যন্ত্র ঘরের ভেতরেও হতে পারে, ঘরের বাহিরে থেকেও হতে পারে। ঘরের অনেক ছাত্র সংগঠন আছে আবার এদের এর মদদপুষ্ট শিক্ষকও রয়েছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক ফায়দার অংশ মনে করি। আমরা এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দিবো না।
আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মাকসুদ কামাল। মানববন্ধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে ভিসির সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিসি ও প্রক্টরের কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক কবি মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান, অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাকসুদ কামাল বলেন, ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাটি কোনভাবেই কাম্য নয়। এছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর একটি ছাত্র সংগঠনের যেভাবে হামলা হয়েছে সেটিও কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ কেন ডাকেনি- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের কালচার হলো; পুলিশ আসলে তখন শ্লোগান দিবে ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, প্রশাসন জবাব দাও। এই জন্য শিক্ষক ছাত্র মিলে আমরা সমাধান করেছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বহিরাগতদের চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান শিক্ষক সমিতির সভাপতি। তিনি বলেন, তা-ব চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার যে স্বপ্ন তা স্বপ্নই থেকে যাবে। আমরা এই ধরনের কর্মকা-কে প্রত্যাখান করছি। শিক্ষক সমিতির এই নেতা মনে করেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য কুশীলবরা ষড়যন্ত্রে নেমেছেন।