দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা বিদেশে ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের সবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকসহ তিনজনকে রিমান্ডে পেয়েছেন ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এই রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া অপর দুই আসামি হলেন, ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম।
বিএনপি নেতা এম মোর্শেদ খানের মালিকানাধীন এই ব্যাংকটির সাবেক প্রধান নির্বাহীসহ কর্মকর্তাদেরকে বেশ কিছুদিন ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করছিল দুদক।
গত ২১ ডিসেম্বর এবি ব্যাংকের সাবেক চয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ ও পরিচালক ফাহিমুল হক পদত্যাগ করেন। এরপর এই তিন পদে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) আট জনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম ফজলুর রহমান ও শামীম আহমেদ চৌধুরী, ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যা ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ব্যাংকের হেড অব করপোরেট কাজী মাহফুজ উল ইসলাম, হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এমএন আজিম ও ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে এবি ব্যাংকের বৈদেশিক শাখা থেকে ১৬৫ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, পিজিএফ নামের দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে ২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ হিসেবে দেওয়ার কথা বললেও ওই কোম্পানির কোনো কর্মকর্তার নাম বা পরিচয় কাগজপত্রে দেখাতে পারেনি এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই টাকা ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেছে। তিন কিস্তিতে ওই টাকা দুবাই যাওয়ার পর ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্র। এর কোনো তথ্য এবি ব্যাংকের কাছে নেই।