দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ার বাংলাদেশেই তৈরি হয়েছে । ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় সর্বোচ্চ এ টাওয়ার গতকাল বুধবার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। টাওয়ারের স্বপ্নদ্রষ্টা ভোলা–৪ আসনের সংসদ সদস্য পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর নামেই ওয়াচ টাওয়ারের নামকরণ করা হয়েছে জ্যাকব টাওয়ার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও চরফ্যাশন পৌরসভার তত্ত্বাবধানে টাওয়ারটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। আইফেল টাওয়ারের আদলে নির্মিত সু–উচ্চ এ টাওয়ার উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে এই অঞ্চলে পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে আশা করছেন নির্মাতারা।
চরফ্যাশন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামিম হাসান জানান, ১৯ তলা বিশিষ্ট টাওয়ারটির ডিজাইন করেছেন স্থপতি একে এম কামরুজ্জামান লিটন। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। মাটির ৭৫ ফুট নিচ থেকে ঢালাই–পাইলিং ফাউন্ডেশনের ওপর সম্পূর্ণ ইস্পাত দিয়ে নির্মিত টাওয়ারটি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়। চারদিকে অ্যালুমিনিয়ামের ওপর রয়েছে ৫ মিলিমিটার ব্যাসের স্বচ্ছ গ্লাস। চূড়ায় ওঠার জন্য সিঁড়ির পাশাপাশি রয়েছে ১৩ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক ক্যাপসুল লিফট।
পৌরসভা সূত্র জানায়, ওয়াচ টাওয়ারটিতে স্থাপন করা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বাইনোকুলার। যার সাহায্যে পর্যটকরা চর কুকরি–মুকরি, তারুয়া সৈকত এবং বঙ্গোপসাগরের একটি অংশসহ চারপাশে অবস্থিত ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা পর্যবেক্ষণ ও উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া বিশ্রামাগার, প্রাথমিক চিকিৎসাসহ খাবারের সু–ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন জ্যাকব টাওয়ার দেশের পর্যটন শিল্পে নতুন এক মাইল ফলক স্থাপন করলো। বুধবার দুপুরে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ২২০ ফুট উচ্চতার ১৮ তলা বিশিষ্ট জ্যাকব ওয়াচ টাওয়ার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। পরে বিকালে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি। রাষ্ট্রপতি দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চরফ্যাশন সরকারি টিবি স্কুল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের পর্যাপ্ত বিকাশ ঘটেছে। সেই চিন্তা ধারায় দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সর্বাধুনিক ও সুউচ্চ জ্যাকব টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, শিক্ষা একটি জাতির উন্নয়নের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে হলে প্রতিটি নাগরিককে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। ২১ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে হবে। সরকার শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।