সরাসরি জাহাজ চলাচল করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ও কেপটাউন এবং মরক্কোর তানজের মেড পোর্টের মধ্যে ।
এরই সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দরকে কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। এ লক্ষ্যে তিনটি দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ শিগগির সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষর করবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি প্রতিনিধিদল দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ও কেপটাউন এবং মরক্কোর তানজের মেড পোর্ট পরিদর্শন শেষে আজ সন্ধ্যায় দেশে ফিরে এসব তথ্য জানায়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বন্দরগুলোর সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ হলে সময় ও খরচ অনেক কমে যাবে। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান হবে।
প্রতিনিধিদল দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহনমন্ত্রী ও মরক্কোর পরিবহনমন্ত্রীর সাথেও সাক্ষাত করেন।
প্রতিনিধিদলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ছিলেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক, নুরুল ইসলাম সুজন, হাবিবুর রহমান ও বেগম মমতাজ বেগম অ্যাডভোকেট। কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়াম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারি কনসাল মোঃ সোলাইমান আলম শেঠ, নৌপরিবহন মন্ত্রীর একান্ত সচিব এম এম তারিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুস সাত্তার, সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব কল্লোল কুমার চক্রবর্তী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফারুক এবং চিফ মেডিকেল অফিসার ডা: মোঃ মোশাররফ হেসেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে বিশ্বের উন্নত বন্দরসমূহের সম্পর্ক স্থাপন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি প্রতিনিধিদল গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।