পুলিশ সাদা পোশাকে আসামি ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর বাধার সম্মুখীন হন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের একটি দল। আর তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই গ্রামবাসীর উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারী পশ্চিমে তেলিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন একজন গ্রামবাসী। গুলিবিদ্ধ রয়েছেন এক স্কুলছাত্রসহ আরো তিনজন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, সীতাকুণ্ডে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সিএনজি টেক্সি ড্রাইভার কবির আহমদ ভোলা (৫৫)।
ছাদেকের ছেলে স্কুলছাত্র ইমরান আলী জয় (১৮) চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাইফুল ইসলাম (২২) নামে একজনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, সাইফুল ইসলাম গ্রামের সামশুল ইসলামের ছেলে। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বুধবার রাত ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করে। এ সময় অবরোধকারীরা ২০টিরও অধিক গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সীতাকুন্ড হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সড়ক থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আহসান হাবিব জানান, বুধবার রাত দশটায় সীতাকুন্ড থানা পুলিশের একটি টিম সাদা পোশাকে ভাটিয়ারীর পশ্চিমে তেলিপাড়া এলাকায় আসামি ধরতে যায়। সাদা পোশাকে দেখে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ হলে তারা পুলিশদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এ সময় লোকজন জড়ো হয়ে বাঁধা সৃষ্টি করলে সাদা পোশাকের পুলিশ তাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় ওই এলাকার ছাদেকের ছেলে স্কুলছাত্র ইমরান আলী জয় (১৮), সামশুল আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২) ও সিএনজি টেক্সি ড্রাইভার কবির আহমদ ভোলা (৫৫)।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সাইফুল ইসলামকে মৃত ঘোষনা করা হয়। এই খবর পেয়ে বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে গ্রামবাসী। যারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটিয়ারীর দক্ষিণ বাজার এলাকায় এসে ব্যারিকেড দেয়। এসময় তারা বিশটির অধিক গাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে একাধিকবার ফোন করা হলেও সীতাকুন্ড থানার ওসি ফোন রিসিভ করেননি। তবে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন বলেন, পুলিশের গুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একজন মারা যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়েছে। রাত ১২টার দিকে হাইওয়ে পুলিশ ব্যরিকেড সরিয়ে নেয়।