শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসএসসি পরীক্ষার সময় প্রশ্ন ফাঁস রোধে পরীক্ষার আগে আধা ঘণ্টা থেকে শুরু করে পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যম বন্ধ রাখতে চাইছেন । তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ‘কোনো কিছু’ বন্ধের পক্ষে না।
গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করার পর তা ছড়ানো হয়েছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে। গত দুই বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। এ জন্য চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার হলে ৩০ মিনিট আগে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা আরোপ হচ্ছে। পাশাপাশি পরীক্ষার দিন কিছু সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখতে চাইছেন শিক্ষামন্ত্রী।
মঙ্গলবার মন্ত্রী সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ফেইসবুক যারা পরিচালনা করেন (তাদের কাছে) একটা লিমিটেড টাইমের জন্য ফেইসবুক বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি আমরা।…এখন দেখা যাক এটা আলাপ করে কীভাবে করা যায়। ফেইসবুক একেবারে বন্ধ তা নয়, একটা লিমিটেড টাইমের জন্য আমরা করব।…বিটিআরসিটি ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’
শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য গণমাধ্যমে আসার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। ফেসবুকে সমালোচনার পাশাপাশি ব্যাঙ্গাত্মক আক্রমণও চলছে শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে।
এদিকে নতুন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন, সীমিত সময়ের জন্য ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যম বন্ধ রাখার কোনো প্রস্তাব পাননি তিনি।
এই প্রস্তাব পেলে কী করবেন- এমন প্রশ্নে আইসিটি মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনোকালেই কোন কিছু বন্ধ করার পক্ষে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি কোন হুকুম করে তা মেনে নেয়া আমার জন্য বাধ্যতামূলক।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রযুক্তি দিয়েই প্রযুক্তি মোকাবেলা করা যায়। বন্ধ করে এর কোন সমাধান হয় না।’
শিক্ষামন্ত্রীর এই ভাবনাকে কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ব্যক্তি হলে আমি একরকম মন্তব্য করতাম। এখন আমি মন্ত্রী আছি, তাই এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করার সুযোগ নাই।’
আইসিটি মন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার সময় সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এ সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে।’
মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেট ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ ও নিরাপদ করতে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি পরশুদিন ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকও করেছি।’