এলার্ট নিউজ প্রতিনিধি অনলাইন: কলকাতার গণেশ টকিজের কাছে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একটা বড় অংশ। হতাহত বহু। বহু চাপা পড়ে আছেন ধ্বংসস্তূপের নীচে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। তারপর থেকে প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতি আমরা তুলে ধরছি:নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা, আহতদের ২ লক্ষ এবং অল্প আহতদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন চিফ সেক্রেটারি। সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালেই আহতদের চিকিৎসা ফ্রি-তে করা হবে।
• ধ্বংসস্তূপ থেকে ৭৮ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনও আটকে রয়েছেন বহু মানুষ।
• বেলা ৪টে ১৫ মিনিট। ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
• নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা, আহতদের ২ লক্ষ এবং অল্প আহতদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন চিফ সেক্রেটারি। সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালেই আহতদের চিকিৎসা ফ্রি-তে করা হবে।
• মৃত্যু হল আরও ৪ জনের। তাঁরা মারওয়ারি রিলিফ সোসাইটে ভর্তি ছিলেন।
• বেলা সাড়ে ৩টে। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থেকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কম্যান্ড হাসপাতালের সার্জিকাল টিম।
• মৃতদেহ মধ্যে একজন জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সন্দীপ হালদার। তিনি ওই সময়ে কর্মরত ছিলেন।
• বেলা ৩টে ২২ মিনিট। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি আহত ১৭ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
• বেলা ৩টে ১৪ মিনিট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ডিজি জানান, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের খুঁজে পেতে ঘটনাস্থলে বিশেষ ক্যামেরা পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকার্যে নামলেন আরও ৪০০ সেনা। পৌঁছেছে ৩টি মেডিক্যাল টিম।
• নবান্নে একটি আপৎকালীন কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যে কোনও রকম সাহায্যের জন্য ১০৭০ নম্বরে ফোন করতে পারবেন। জানানো হয়েছে আরও ৩টি হেল্প লাইন নম্বর। সেগুলি হল ০৩৩-২২১৪ ৩৫২৬/ ২২৫৩ ৫১৮৫/ ২২১৪ ৫৬৬৮ । কলকাতা পুলিশের হেল্প লাইন নম্বর ০৩৩ ২২১৪ ৩০২৪/ ৯৪৩২৬২৪৩৬৫ । ফ্যাক্স করতে পারেন ০৩৩-২২১৪ ১৩৭৮ নম্বরে।
• মাত্র দু’টি ক্রেন নিয়ে উদ্ধারকার্য চলছে। দরকার আরও ক্রেন। আড়াই ঘণ্টা হয়ে গেলেও এখনও তার ব্যবস্থা করা যায়নি।
• বেলা ৩টে। ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার।
• মৃতের সংখ্যা নিয়ে নানা তথ্য উঠে আসছে। কেউ বলছে ১০, কেউ বলছে ১৫ জন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা।
• উদ্ধারকাজে সেনার সাহায্য চাইল রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
• ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান।
• বেলা ২টো ৪৪ মিনিট। ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিছু আগে পৌঁছেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং মুখ্য সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
• গতকাল রাতে ভেঙে পড়া অংশটিতে ঢালাই করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
• ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছে বেশ কয়েকটি যাত্রীবোঝাই বাসও।
• এলাকায় মানুষের ব্যাপক ক্ষোভ-উত্তেজনা। পুলিশের তাড়ায় মানুষের পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
• ধ্বংসস্তূপের নীচে কোনও ভাবে আগুন ধরে গিয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।
• দুপুর ২টো ১০ মিনিট। উদ্ধারকার্যে হাত লাগালেন সেনা-জওয়ানেরাও।
• দুপুর ২টো। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ।
• আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মৃতদেহ। মেডিক্যাল কলজে ভর্তি করা হয়েছে ১৭ জন আহতকে। ৪০ জনকে মারওয়ারি রিলিফ সোসাইটিতে ভর্তি করা হয়েছে।
• ঘটনাস্থলে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খার সৃষ্টি হয়েছে। লোক সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। ক্রেন নিয়ে এলেও উদ্ধারকার্য শুরু করতে দেরি হয়।
• সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
• চিৎপুর রোড, বিবেকানন্দ রোড-সহ একাধিক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
• মেদিনীপুরের সভা বাতিল করে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
• পোস্তা বাজার থাকায় এই এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি। তার উপরে ব্যস্ত সময়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। যার ফলে প্রচুর মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।
• উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে স্থানীয়েরাও।
• এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সাড়ে ১২টা নাগাদ বোমা ফাটার মতো আওয়াজ শুনতে পাই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি চোখের সামনে আস্ত একটা উড়ালপুল ভেঙে পড়ছে।
• কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
• ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ট্রমা কেয়ার ইউনিট।
• ঘটনাস্থলে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। রয়েছেন লালবাজারের অফিসারেরাও। আশেপাশের সমস্ত থানার অফিসারেরাও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
• আটকে থাকা লোকেদের উদ্ধার করতে ড্রিল মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে পাথরের স্ল্যাব।
• গণেশ টকিজের কাছে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ উড়ালপুল। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে পড়ে একটি গাড়ির উপরে। পুলিশ জানিয়েছে, ভেঙে পড়া অংশের নীচে অনেকেই আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্ধারকার্য চলছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কেউ মারা গিয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।